![]() | |
| Pakistan–Bangladesh joint military coordination creating new strategic pressure on India |
ভূমিকা
দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক মানচিত্র আবারও বড় পরিবর্তনের মুখে। একাত্তর সালের পর এই প্রথম এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যেখানে ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম—দু’দিক থেকেই একসঙ্গে নিরাপত্তা চাপ তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ক্ষমতার পালাবদল এবং Sheikh Hasina সরকারের পতনের পর ঢাকার পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতিতে এক স্পষ্ট দিক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। এই পরিবর্তনের কেন্দ্রে রয়েছে ইসলামাবাদ ও ঢাকার মধ্যে প্রস্তাবিত একটি যৌথ প্রতিরক্ষা বা Joint Security Mechanism।
📌 Pakistan–Bangladesh Defense Axis কী?
পাকিস্তান–বাংলাদেশ ডিফেন্স অ্যাক্সিস হলো ইসলামাবাদ ও ঢাকার মধ্যে প্রস্তাবিত যৌথ সামরিক ও গোয়েন্দা সহযোগিতা ব্যবস্থা, যার লক্ষ্য ভারতের বিরুদ্ধে পূর্ব ও পশ্চিম সীমান্তে একসঙ্গে কৌশলগত চাপ তৈরি করা এবং Two-Front War পরিস্থিতি বাস্তবে রূপ দেওয়া।
এই নতুন সমঝোতা শুধু দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতি নয়; এটি ভারতের নিরাপত্তা কৌশলের জন্য একটি মৌলিক চ্যালেঞ্জ। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা একে ভারতের জন্য একটি কার্যকর Two-Front War scenario হিসেবে দেখছেন—যেখানে পশ্চিমে পাকিস্তান এবং পূর্বে বাংলাদেশ একসঙ্গে কৌশলগত চাপ সৃষ্টি করবে। এই পুরো প্রক্রিয়ার নীরব স্থপতি হিসেবে উঠে আসছে China।
এক. প্রস্তাবিত প্রতিরক্ষা চুক্তি: একটি “Saudi-Style” নিরাপত্তা ছাতা
যৌথ প্রতিরক্ষা কাঠামো কী?
বর্তমান রিপোর্ট অনুযায়ী, Pakistan এবং Bangladesh ইতিমধ্যেই একটি Joint Mechanism তৈরি করেছে, যার কাজ হলো একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিরক্ষা চুক্তির খসড়া প্রস্তুত করা। এটি সাধারণ কূটনৈতিক চুক্তির থেকে অনেক গভীর।
এই ব্যবস্থার মূল উপাদানগুলো হলো—
Intelligence sharing
Joint military exercise
Training program
Arms and hardware cooperation
অর্থাৎ, এটি একটি structured military framework।
কেন “Saudi Model” বলা হচ্ছে?
বিশেষজ্ঞরা এই চুক্তিকে পাকিস্তান–সৌদি আরব প্রতিরক্ষা সম্পর্কের সঙ্গে তুলনা করছেন। কারণটি খুবই স্পষ্ট।
সৌদি আরবে পাকিস্তানের হাজার হাজার সেনা রয়েছে, যারা মূলত—
Royal family protection
Critical infrastructure security
এর বদলে পাকিস্তান পায় অর্থনৈতিক সহায়তা, তেল সুবিধা এবং রাজনৈতিক সমর্থন।
বাংলাদেশে এই মডেল প্রয়োগ হলে কী হবে?
এই নতুন চুক্তির আওতায় বাংলাদেশে—
Pakistani military advisors
Training personnel
এমনকি সীমিত troop deployment
সম্ভব হতে পারে। সরকারিভাবে একে “training” বা “regime security” বলা হলেও, বাস্তবে এর অর্থ হলো—একাত্তর সালের পর প্রথমবার পাকিস্তানি সেনার সরাসরি উপস্থিতি ভারতের পূর্ব সীমান্তে।
ভারতের দৃষ্টিতে এটি একটি বড় red line।
দুই. Two-Front War: তত্ত্ব থেকে বাস্তব
Two-Front War কী?
ভারতীয় সামরিক পরিকল্পনায় বহুদিন ধরেই “Two-Front War” একটি worst-case theory ছিল। ধারণাটি হলো—
পশ্চিমে পাকিস্তান
উত্তরে বা পূর্বে অন্য শত্রু শক্তি
একসঙ্গে চাপ সৃষ্টি করলে ভারতের ওপর বিপুল operational burden পড়বে।
নতুন চুক্তি কীভাবে এই ভয়কে বাস্তব করছে?
এই প্রতিরক্ষা চুক্তির মাধ্যমে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ যৌথভাবে—
Bay of Bengal surveillance
Eastern airspace monitoring
করার পরিকল্পনা করছে। ISI এবং DGFI-এর মধ্যে একটি Joint Intelligence Mechanism গঠনের কথা রিপোর্টে উঠে এসেছে।
সামরিক চাপের বাস্তবতা
এর ফলাফল খুব পরিষ্কার—
ভারত আর Eastern Command থেকে সেনা সরিয়ে পশ্চিমে পাঠাতে পারবে না
প্রতিটি সীমান্তে full war readiness রাখতে হবে
Logistics, manpower, air assets—সবকিছুতে অতিরিক্ত চাপ পড়বে
২০০২ সালের মতো পরিস্থিতিতে ভারত পূর্ব দিক থেকে সেনা সরাতে পেরেছিল। ভবিষ্যতে সেই সুযোগ আর থাকবে না।
Asymmetric Warfare-এর ঝুঁকি
সবচেয়ে বিপজ্জনক দিক হলো proxy war। রিপোর্ট অনুযায়ী—
ঢাকায় পাকিস্তান হাই কমিশনের ভেতরে একটি বিশেষ ISI cell কাজ করছে
লক্ষ্য: Northeast India-তে পুরনো insurgency route revive করা
এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য একটি বড় হুমকি।
তিন. সিলিগুড়ি করিডোর: ভারতের সবচেয়ে দুর্বল শিরা
কেন সিলিগুড়ি করিডোর এত গুরুত্বপূর্ণ?
Siliguri Corridor মাত্র বাইশ কিলোমিটার চওড়া একটি করিডোর। এই ছোট্ট ভূখণ্ডই—
মূল ভারতকে
সাতটি উত্তর-পূর্ব রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত করে
এই করিডোর কেটে গেলে কার্যত পুরো Northeast বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।
Pincer Threat কীভাবে তৈরি হচ্ছে?
প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক যেভাবে ব্যাখ্যা করেছেন—
উত্তরে চীনের Chumbi Valley
দক্ষিণে একটি hostile বাংলাদেশ
এই দুই দিক থেকে একসঙ্গে চাপ পড়লে করিডোরটি কয়েক দিনের মধ্যেই অকার্যকর হতে পারে।
Airspace Denial-এর ঝুঁকি
বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের কাছ থেকে—
Fatah-series rocket system
JF-17 Thunder fighter jet
নেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে। যদি এই assets Kurmitola বা Chittagong-এর মতো ঘাঁটিতে মোতায়েন হয়, তাহলে—
Indian Air Force-এর movement কঠিন হবে
Relief operation জটিল হয়ে পড়বে
একটি সংকটের সময় এটি মারাত্মক সমস্যা তৈরি করতে পারে।
চার. দুই হাজার পঁচিশ সালের প্রেক্ষাপট: Operation Sindoor-এর ছায়া
Operation Sindoor কী ছিল?
মে দুই হাজার পঁচিশে, Pahalgam terror attack-এর পর ভারত চালায় Operation Sindoor। এটি ছিল—
Precision missile strike
Long-range air-launched weapons
No manned aircraft crossing border
এই অপারেশনে পাকিস্তান ও PoK-এর একাধিক terror infrastructure ধ্বংস হয়।
কেন এটি পাকিস্তানের জন্য humiliation ছিল?
কারণ—
পাকিস্তান কার্যকরভাবে প্রতিশোধ নিতে পারেনি
Nuclear threat কাজ করেনি
আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের অবস্থান শক্তিশালী হয়
এটি স্পষ্ট করে দেয় যে conventional military balance ভারতের পক্ষে।
পাকিস্তানের নতুন কৌশল
এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান বুঝে যায়—
সরাসরি যুদ্ধে জেতা অসম্ভব
তাই indirect balancing দরকার
বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে পূর্বে একটি নতুন চাপ তৈরি করাই এই কৌশলের অংশ।
পাঁচ. চীনের ভূমিকা: Kunming Axis
Kunming বৈঠকের তাৎপর্য
জুন দুই হাজার পঁচিশে, চীন Kunming শহরে—
পাকিস্তান
বাংলাদেশ
নিয়ে একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক আয়োজন করে। Operation Sindoor-এর ঠিক পরেই এই বৈঠক হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
China’s Strategic Design
চীন এখানে পাকিস্তানকে ব্যবহার করছে একটি strategic anchor হিসেবে। লক্ষ্য হলো—
বাংলাদেশকে চীনা security orbit-এ আনা
Interoperable military hardware সরবরাহ করা
JF-17 fighter, Chinese frigate—সবকিছু একই system-এর অংশ।
Indian Ocean-এ চ্যালেঞ্জ
Gwadar (Pakistan) এবং Chittagong (Bangladesh)-এ—
Chinese-built port
Potential naval access
ভারতের net security provider ভূমিকার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।
🔍 People Also Ask
হ্যাঁ। দুই দেশ ইতিমধ্যেই একটি Joint Security Mechanism গঠন করেছে, যার মাধ্যমে intelligence sharing, training এবং সামরিক সহযোগিতার কাঠামো তৈরি হচ্ছে।
এই জোট ভারতের জন্য একটি কার্যকর Two-Front War চাপ তৈরি করে, যেখানে পশ্চিমে পাকিস্তান এবং পূর্বে বাংলাদেশ একসঙ্গে সামরিক ও গোয়েন্দা হুমকি তৈরি করতে পারে।
সিলিগুড়ি করিডোর হলো ভারতের মূল ভূখণ্ড ও উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর একমাত্র স্থল সংযোগ। এটি বিচ্ছিন্ন হলে সাতটি রাজ্য কার্যত আলাদা হয়ে যাবে।
Operation Sindoor-এ পাকিস্তান সামরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরই ইসলামাবাদ পূর্ব ফ্রন্ট খুলে ভারতের ওপর চাপ বাড়ানোর কৌশল বেছে নিয়েছে।
Kunming-এ অনুষ্ঠিত ত্রিপাক্ষিক বৈঠক এবং চীনা সামরিক সরঞ্জাম ইঙ্গিত দেয় যে China এই Pakistan-Bangladesh security axis-কে নীরবে সমর্থন করছে।
উপসংহার
পাকিস্তান–বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা চুক্তি কোনো সাধারণ bilateral agreement নয়। এটি একটি বৃহত্তর Chinese-facilitated containment strategy। এর ফলে—
ভারতকে বাংলাদেশ সীমান্তে স্থায়ী সামরিক মোতায়েন বাড়াতে হবে
China front থেকে resources divert হবে
Two-Front War একটি স্থায়ী বাস্তবতা হয়ে উঠবে
Operation Sindoor দেখিয়েছে ভারতের No-Nonsense Doctrine কতটা কার্যকর। কিন্তু ভবিষ্যতে এই নীতিকে আরও বিস্তৃত করতে হবে—যেখানে পূর্ব দিকের হুমকিও সমান গুরুত্ব পাবে।
দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা স্থিতাবস্থায় আমরা একটি নতুন, অনিশ্চিত অধ্যায়ে প্রবেশ করেছি।
