বাংলার প্রথম স্বাধীন শাসক
The Pala Empire (750–1161 CE) was Bengal’s golden age of Buddhist learning and art. Founded by Gopala, it peaked under Dharmapala and Devapala, who built Vikramashila and Somapura universities and spread influence to Southeast Asia.
পাল সাম্রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য (সারণি)
| বিষয় | তথ্য |
|---|---|
| সময়কাল | ৭৫০–১১৬১ খ্রিস্টাব্দ (প্রায় ৪১১ বছর) |
| প্রতিষ্ঠাতা | গোপাল (নির্বাচিত রাজা) |
| রাজধানী | মুঙ্গের, পাটলিপুত্র, পরে গৌড় |
| বিখ্যাত শাসক | ধর্মপাল, দেবপাল, মহীপাল প্রথম |
| বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় | বিক্রমশীলা, সোমপুর, ওদন্তপুরী |
| প্রভাব অঞ্চল | বাংলা, বিহার, উত্তর ভারত, তিব্বত, শ্রীলঙ্কা, জাভা |
১. প্রতিষ্ঠা ও গোপাল প্রথমের শাসন: বাংলার অরাজকতা থেকে সাম্রাজ্য গঠনের গল্প
শশাঙ্কের গৌড় সাম্রাজ্যের পতনের পর বাংলা তীব্র অস্থিরতায় ভরে ওঠে। সমাজে দেখা দেয় মত্স্যন্যায়, অর্থাৎ “বড় মাছ ছোট মাছকে খেয়ে ফেলে”—এই উপমাই অরাজকতার চিত্র তুলে ধরে। এমন পরিস্থিতিতে, প্রায় ৭৫০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে বাংলা বিভিন্ন ক্ষুদ্র ক্ষমতাবান সামন্ত প্রধানদের মিলিত সভায় গোপালকে রাজা নির্বাচিত করা হয়। এটি ভারতীয় ইতিহাসে এক বিরল ঘটনা—কারণ এখানে কোনো বংশগত উত্তরাধিকার নয়, বরং গণসম্মতিতে একজন শাসক নির্বাচন করা হয়েছিল।
গোপাল প্রথমের নামের শেষাংশ “পাল” অর্থ “রক্ষক”—এবং এই উপাধিই পরবর্তী সকল পাল শাসকের নামের সঙ্গে যুক্ত হয়, যেমন ধর্মপাল, দেবপাল, মহীপাল ইত্যাদি।
গোপালের প্রশাসনিক কৃতিত্ব
- গৌড়, দক্ষিণবঙ্গ (বঙ্গ) ও বরেন্দ্র অঞ্চলে স্থিতিশীল শাসন প্রতিষ্ঠা
- মগধ (মগধা) পর্যন্ত পাল বিস্তার
- কেন্দ্রীভূত প্রশাসনিক কাঠামো গঠন
- বৌদ্ধ মঠ ও প্রাথমিক শিক্ষাকেন্দ্রের পুনর্গঠন
গোপাল প্রায় ২৭ বছর শাসন করেন এবং তার মৃত্যুর সময় একটি শক্তিশালী, ঐক্যবদ্ধ বাংলা গড়ে ওঠে, যা পরবর্তী বিস্তারের ভিত্তি স্থাপন করে।
২. ধর্মপাল (৭৭০–৮১০ খ্রি.): পাল সাম্রাজ্যের উত্থান ও সাংস্কৃতিক বিপ্লব
ধর্মপাল পাল সাম্রাজ্যের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বিবেচিত। তার শাসনামলে সাম্রাজ্যের রাজনৈতিক শক্তি যেমন বেড়েছিল, তার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল বৌদ্ধ ধর্মের পুনর্জাগরণ, মঠ-শিক্ষা প্রতিষ্ঠা, এবং আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান।
ধর্মপালের সামরিক ও রাজনৈতিক সাফল্য
- কামরূপ (আধুনিক অসম) দখল
- অঙ্গ, বঙ্গ, গৌড়—সমগ্র পূর্ব ভারতের ঐক্য
- মগধের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ
- উত্তর ভারতের গুরুত্বপূর্ণ রাজবংশগুলোর ওপর প্রভাব বিস্তার
কিন্তু ধর্মপালের প্রকৃত ঐতিহাসিক তাৎপর্য সামরিক বিজয়ে নয়—বরং তিনি নির্মাণ করেন যে তিনটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মহাবিহার, সেই কারণেই তিনি মধ্যযুগীয় ভারতের “শিক্ষার মহান পৃষ্ঠপোষক” হিসেবে পরিচিত।
৩. দেবপাল (৮১০–৮৫০ খ্রি.): পাল সাম্রাজ্যের সর্বোচ্চ বিস্তার
দেবপালের শাসনমালেই পাল সাম্রাজ্য তার সর্বোচ্চ ভৌগোলিক বিস্তারে পৌঁছায়।
দেবপালের প্রধান সাফল্য
- প্রাগজ্যোতিষ (অসম) পুরোপুরি পালের অধীনে আসে
- উত্কল (ওডিশা) দখল
- নেপালের কিছু অঞ্চল পর্যন্ত প্রভাব বিস্তার
- দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য ও ধর্মীয় যোগাযোগ বৃদ্ধি
জাভার শৈলেন্দ্র বংশের শাসক বালাপুত্রদেব যখন সোমপুর মহাবিহারের জন্য জমি ও অর্থ চান, দেবপাল তা উদারভাবে মঞ্জুর করেন। এর ফলে পাল সাম্রাজ্য বৌদ্ধ বিশ্বের আন্তর্জাতিক কেন্দ্র হয়ে ওঠে।
তবে দেবপালের পরবর্তী শাসকরা দুর্বল হওয়ায় সাম্রাজ্যে ধীরে ধীরে ভাঙন শুরু হয়।
৪. মহীপাল প্রথম (৯৭৮–১০২৬ খ্রি.): সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় উত্থান
একসময় ভেঙে পড়া পাল সাম্রাজ্যের পুনর্জাগরণ ঘটান মহীপাল প্রথম। মাত্র তিন বছরের মধ্যে তিনি:
- উত্তর ও পূর্ব বাংলা পুনর্দখল করেন
- গৌড় অঞ্চল কাঁবোর্জাদের থেকে পুনরুদ্ধার করেন
- প্রশাসনে নতুন শৃঙ্খলা আনেন
তার শাসনকালে বাংলা ও বিহারের বিভিন্ন অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধি ফিরে আসে। এটি পাল সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় স্বর্ণযুগ হিসেবে পরিচিত।
৫. রামপাল (১০৬৯–১১২২ খ্রি.): শেষ শক্তিশালী পাল সম্রাট
রামপালও তার পূর্বপুরুষ মহীপালের মতো পুনরুদ্ধারমূলক নীতি গ্রহণ করেছিলেন।
- কাম্বোজ বিদ্রোহ দমন
- বরেন্দ্র অঞ্চলের পুনর্গঠন
- রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা
| Ruler | Reign | Major Achievement |
|---|---|---|
| Gopala | 750–770 CE | Founded Pala dynasty via democratic election |
| Dharmapala | 770–810 CE | Founded Vikramashila University; tripartite struggle victor |
| Devapala | 810–850 CE | Empire at zenith; conquests up to Java |
তবে তার পরবর্তী শাসকরা দুর্বল হয়ে পড়লে সাম্রাজ্য দ্রুত খণ্ডিত হতে থাকে।
৬. পাল সাম্রাজ্যের তিন মহা বিশ্ববিদ্যালয়: বিশ্ববৌদ্ধ শিক্ষার কেন্দ্র
পাল সাম্রাজ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান হলো তাদের প্রতিষ্ঠিত তিনটি বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়—বিক্রমশীলা, সোমপুর মহাবিহার, ওদন্তপুরী।
৬.১ বিক্রমশীলা বিশ্ববিদ্যালয়: বজ্রযান বৌদ্ধ শিক্ষার শ্রেষ্ঠ কেন্দ্র
ধর্মপাল প্রতিষ্ঠিত বিক্রমশীলা ছিল তৎকালীন বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির একটি।
বৈশিষ্ট্য
- এক হাজারেরও বেশি ছাত্র
- শতাধিক আচার্য
- ২০৮টি সেল ঘিরে বিশাল প্রাঙ্গণ (৫২টি করে প্রতিটি পাশে)
- কেন্দ্রে ১৫ মিটার উঁচু ক্রুশাকৃতি স্তূপ
- উন্নত জলাধার ও নিকাশিনালা ব্যবস্থা
- বজ্রযান (তন্ত্র) বৌদ্ধ শিক্ষার মূল কেন্দ্র
তিব্বত, নেপাল, চীন থেকে ভিক্ষুরা এসে এখানে শিক্ষা নিতেন। তিব্বতীয় বৌদ্ধধর্মে বিক্রমশীলার প্রভাব আজও গভীর।
৬.২ সোমপুর মহাবিহার (পাহাড়পুর): দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম মঠ
বাংলাদেশের নওগাঁর পাহাড়পুরে অবস্থিত সোমপুর মহাবিহার পাল স্থাপত্য ও শিল্পকলার শ্রেষ্ঠ নিদর্শন।
বৈশিষ্ট্য
- আয়তন ২৭ একর
- ১৭৭টি ভিক্ষুক কক্ষ
- চারদিকমুখী বৃহৎ কেন্দ্রীয় মন্দির
- টেরাকোটা ফলকে গ্রামীণ জীবন, সংগীতজ্ঞ, নৃত্যশিল্পী, পশুপাখি ইত্যাদির চিত্র
- ১৯৮৫ সালে UNESCO World Heritage Site
এটি মধ্যযুগীয় বাংলার শিল্প ও স্থাপত্য ঐতিহ্যের এক অনন্য দলিল।
৬.৩ ওদন্তপুরী মহাবিহার: তিব্বতীয় বৌদ্ধ শিক্ষার অনুপ্রেরণা
গোপাল প্রথম প্রতিষ্ঠিত ওদন্তপুরী বাংলা-বিহারের দ্বিতীয় বৃহত্তম মঠ ছিল।
বিশেষত্ব
- ত্রিপিটক সংরক্ষণ
- থেরবাদ ও মহাযান উভয় ধারার ভিক্ষুদের সমন্বয়
- ওদন্তপুরীর ছাঁচে তিব্বতের সাম-ইয়ে (Samye) মঠ নির্মিত হয়
এটি প্রাচীন ভারত-তিব্বত সম্পর্কের এক গুরুত্বপূর্ণ সেতুবন্ধন।
৭. পাল শিল্পশৈলী: এশিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়া এক বৌদ্ধ নন্দনশৈলী
পাল যুগের শিল্পকলাকে ভারতীয় বৌদ্ধ শিল্পের সর্বোচ্চ শিখর হিসেবে ধরা হয়।
পাল শিল্পের বৈশিষ্ট্য
- “Lost-wax” পদ্ধতিতে অষ্টধাতব ব্রোঞ্জ মূর্তি নির্মাণ
- নরম, মনোরম, জীবন্ত ভঙ্গি
- অলংকারের সূক্ষ্ম শিল্পীসুলভ খোদাই
- কালো ব্যাসল্ট পাথরে অত্যন্ত নিখুঁত পরিচ্ছন্ন ভাস্কর্য
- তাড়ি পাতায় (Palm leaf) রঙিন পাণ্ডুলিপি চিত্রকলা
পাল শিল্পের আন্তর্জাতিক প্রভাব দেখা যায়:
- তিব্বতের থাংকার চিত্রে
- নেপালি বৌদ্ধ মূর্তিশিল্পে
- মিয়ানমারের প্যাগান মন্দিরশিল্পে
- থাইল্যান্ডের বৌদ্ধ মূর্তিতে
- জাভার বোরোবুদুর স্থাপত্যে
সমুদ্রবাণিজ্য ও ভিক্ষু বিনিময়ের মাধ্যমে পাল শিল্প পুরো এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।
৮. ধর্মীয় পৃষ্ঠপোষকতা: ভারতীয় বৌদ্ধ ধর্মের শেষ মহান সহায়ক
পাল সাম্রাজ্য বৌদ্ধ ধর্মের সর্বশেষ মহান পৃষ্ঠপোষক রাজবংশ হিসেবে পরিচিত।
ধর্মপালের অবদান
- ৫০টির বেশি বৌদ্ধ প্রতিষ্ঠান
- বৌদ্ধ দার্শনিক হারিবর্ধনকে আচার্য নিযুক্ত করা
- মঠগুলিতে বিশাল ভূমিদান
দেবপালের আন্তর্জাতিক অবদান
- জাভার রাজা বালাপুত্রের আবেদনে পাঁচ গ্রাম দান
- শ্রীলঙ্কা, চীন, নেপাল, তিব্বতের সঙ্গে ধর্মীয় সম্পর্ক
এই সময় বৌদ্ধ দর্শন, তন্ত্র, যুক্তিবিদ্যা, নালন্দা-বিক্রমশীলার বিখ্যাত আচার্যদের গ্রন্থ রচনা এশিয়া জুড়ে বৌদ্ধচিন্তাকে নতুন মাত্রা দেয়।
৯. পতন: সেন বংশের উত্থান ও মুসলিম আক্রমণে বৌদ্ধধর্মের ধ্বংস
১১৫০–১১৬০ খ্রিষ্টাব্দে সেন রাজবংশের উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে পাল সাম্রাজ্য দুর্বল হয়ে পড়ে।
পতনের কারণ
- দুর্বল পরবর্তী শাসক
- সেন রাজবংশের ব্রাহ্মণ্যবাদী নীতি
- বৌদ্ধ প্রতিষ্ঠানের অর্থসঙ্কট
- সামন্তদের স্বায়ত্তশাসন
চূড়ান্ত আঘাত: বখতিয়ার খিলজি
১৩শ শতকের শুরুতে বখতিয়ার খিলজির তুর্কি সেনাবাহিনী:
- নালন্দা
- বিক্রমশীলা
- ওদন্তপুরী
এই তিনটি বিশ্ববিখ্যাত বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস করে দেয়। গ্রন্থাগার পুড়িয়ে দেওয়া হয়, ভিক্ষুদের হত্যা করে ছত্রভঙ্গ করা হয়।
এরপর বৌদ্ধধর্ম প্রায় পুরোপুরি উত্তর ভারত থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায়।
১০. পাল সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকার: কেন পাল যুগ এখনও বাংলার সোনালি অধ্যায়?
১. বৌদ্ধ জ্ঞান ও দর্শনের বৈশ্বিক বিস্তার
তিব্বত, নেপাল, মিয়ানমার, থাইল্যান্ডের বৌদ্ধধর্মের মূল ভিত্তি আজও পাল মঠের শিক্ষা।
২. শিল্পকলার আন্তর্জাতিক মানদণ্ড
পাল ব্রোঞ্জ, টেরাকোটা, পাণ্ডুলিপি চিত্রকলা এখনো বিশ্বজাদুঘরে প্রদর্শিত হয়।
৩. জাতিসংঘের বিশ্ব ঐতিহ্য
পাহাড়পুরের সোমপুর মহাবিহার পালদের স্থাপত্যের অমর সাক্ষ্য।
৪. মধ্যযুগীয় বঙ্গের সর্বশ্রেষ্ঠ সাংস্কৃতিক উন্নয়ন
বাংলাকে জ্ঞানচর্চার আঞ্চলিক কেন্দ্র থেকে আন্তর্জাতিক কেন্দ্র করে তোলে পালরা।
৫. ভারত-এশিয়া সম্পর্কের সোনালি যুগ
সমুদ্রবাণিজ্য, মঠ-ভিক্ষু বিনিময়, সাংস্কৃতিক যোগাযোগ—সবকিছুর মাধ্যমে পালরা এশিয়ার বৌদ্ধ বিশ্বের কেন্দ্রস্থল হয়ে ওঠে।
Pala Empire vs Gupta Empire: A Comparison
| Criteria | Pala Empire (750–1161 CE) | Gupta Empire (320–550 CE) |
|---|---|---|
| Region | Bengal, Bihar, parts of Odisha, Assam, and influence in Southeast Asia | North India (Magadha, UP, MP), peak under Samudragupta & Chandragupta II |
| Religion | Buddhism (Mahayana & Vajrayana) – built Vikramashila, Somapura, Nalanda revival | Hinduism (Vaishnavism, Shaivism) – temples at Deogarh, Bhitargaon |
| Education | Global Buddhist universities: Vikramashila, Somapura (UNESCO), attracted scholars from Tibet, Java, China | Nalanda at its peak; Aryabhata, Varahamihira, Kalidasa flourished |
| Art & Sculpture | Pala School: Black stone & bronze Buddhas, intricate mandalas, influenced Tibet & Nepal | Gupta Classical Style: Sarnath Buddha, Mathura red sandstone, “Golden Age of Indian Art” |
| Architecture | Stupas, viharas: Somapura Mahavihara – largest monastery in ancient India | Early Hindu temples: Dashavatara (Deogarh), iron pillar of Delhi |
| Science & Literature | Sanskrit & Pali Buddhist texts; Charyapada – earliest Bengali poetry | Sanskrit literature peak: Kalidasa, Aryabhatiya, decimal system, zero |
| Trade & Global Reach | Maritime trade with Southeast Asia; monks sent to Java, Sumatra | Silk Route trade; Roman gold coins found in South India |
| Duration | ~411 years (longest-lasting medieval Indian dynasty) | ~230 years |
Both empires represent India’s golden ages — Gupta for classical Hindu renaissance, Pala for Buddhist global influence.
উপসংহার
পাল সাম্রাজ্য ছিল শুধু একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক রাজবংশ নয়—এটি ছিল একটি জ্ঞানসভ্যতার নির্মাতা। এই সাম্রাজ্য বৌদ্ধ ধর্ম, শিল্পকলা, বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থা, আন্তর্জাতিক বিনিময়, এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এমন সব প্রতিষ্ঠান গড়ে গেছে, যা তাদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব বিলুপ্ত হলেও বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকে।
বাংলার ইতিহাসে তাই পাল যুগ স্বর্ণাক্ষরে লেখা—বাংলার প্রথম “বিশ্বায়ন পর্ব”, যেখানে বাংলা-বিহার ছিল এশিয়ার জ্ঞানচর্চার রাজধানী।
People Also Ask
Who founded the Pala Empire?
Gopala founded the Pala Empire around 750 CE. He was elected by regional chieftains to end anarchy in Bengal after the fall of Gauda king Shashanka. Gopala established a stable Buddhist dynasty that lasted over 400 years.
What is the Pala Empire famous for?
The Pala Empire is famous for patronizing Mahayana and Vajrayana Buddhism, founding Vikramashila and Somapura Mahavihara (UNESCO site), and creating the iconic Pala school of sculpture in bronze and black stone, influencing art in Tibet, Nepal, and Southeast Asia.
How long did the Pala Empire last?
The Pala Empire lasted from 750 CE to 1161 CE, spanning approximately 411 years and 18 rulers. It ended after defeat by the Sena dynasty under Vijaya Sena.
Which Pala king built Vikramashila University?
Dharmapala (r. 770–810 CE) founded Vikramashila University near Bhagalpur (Bihar). It became a global center for Buddhist studies, rivaling Nalanda, with over 100 teachers and 1,000 students.
Why is Somapura Mahavihara important?
Somapura Mahavihara (Paharpur, Bangladesh), built by Devapala, was the largest Buddhist monastery in ancient India. A UNESCO World Heritage Site, it reflects Pala architectural grandeur and was a major learning center until the 12th century.
Did the Pala Empire influence Southeast Asia?
Yes. Under Devapala, the Palas controlled maritime trade and sent monks to Java and Sumatra. The Sailendra dynasty of Indonesia sought Pala support to build monasteries, and Pala art influenced Borobudur and Angkor temples.
Who defeated the Pala Empire?
The Sena dynasty, led by Vijaya Sena, defeated the last Pala king Madhanapala around 1161 CE. The Senas shifted patronage from Buddhism to Hinduism, ending the Pala golden age.
What language was used in the Pala Empire?
Sanskrit was the official language for inscriptions and Buddhist texts. Early Bengali script evolved under the Palas, and they supported Pali and Prakrit literature. Copper plates in Sanskrit confirm land grants to monasteries.
