![]() |
| India Afghanistan UNSC 2025 |
India’s Major Afghan Move at UNSC: Bagrami Hospital Project, India’s Stand on Pakistan Strikes, and South Asia Geopolitics
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) ১০ ডিসেম্বর ২০২৫-এর বৈঠকটি দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক উত্তাপকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এই বৈঠকে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি পর্বতনেনি হরিশ একদিকে যেমন আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে ভারতের নতুন বিনিয়োগ ও উন্নয়ন পরিকল্পনার ঘোষণা করেন, অন্যদিকে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক বিমান হামলাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে বলেন—এগুলো স্পষ্টতই acts of war এবং আন্তর্জাতিক আইনের সরাসরি লঙ্ঘন।
এই দুই দিক—উন্নয়ন সহযোগিতা ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর কূটনৈতিক অবস্থান—একসঙ্গে তুলে ধরে ভারতের বর্তমান আঞ্চলিক কৌশলের একটি স্পষ্ট সিগন্যাল দেয়: নয়াদিল্লি এখন আফগানিস্তানে তার ভূমিকা বাড়াতে চায়, এবং সেই প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানের একচ্ছত্র প্রভাবকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করছে।
1) A renewed development push through the Bagrami Hospital Project and healthcare initiatives.
2) A strong condemnation of Pakistan’s airstrikes on Afghanistan, calling them “acts of war.” India’s engagement with the Taliban marks a pragmatic geopolitical strategy.
বাগরামি হাসপাতাল প্রকল্প: ভারতের স্বাস্থ্য-নিবেশের নতুন অধ্যায়
ভারতের ঘোষণার কেন্দ্রবিন্দু ছিল কাবুলের বাগরামি জেলায় একটি ৩০-বেডের আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত। এই হাসপাতালটিতে থাকবে –
-
Oncology Centre
-
Trauma Centre
-
পাঁচটি Maternity Health Clinic
এই প্রকল্প শুধু একটি স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নয়—এটি ভারতের দীর্ঘদিনের আফগান অংশীদারিত্বকে আবার সামনে নিয়ে আসার কৌশল। আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষের কাছে ভারতের goodwill পুনর্গঠনের ক্ষেত্রেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এই হাসপাতালের বাইরে ভারত বেশ কয়েকটি অতিরিক্ত স্বাস্থ্য-উদ্যোগও ঘোষণা করেছে:
-
কাবুলে Thalassemia Centre স্থাপন
-
Diagnostic Centre তৈরির পরিকল্পনা
-
Indira Gandhi Institute of Child Health-এর পুরনো heating system নতুন করা
-
আফগান নাগরিকদের জন্য prosthetic limbs প্রদান (এ পর্যন্ত প্রায় ৭৫ জন এগুলো পেয়েছেন)
-
আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুতাক্কির দিল্লি সফরকালে ২০টি অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর
এই উদ্যোগগুলো আফগানিস্তানের স্বাস্থ্য খাতে ভারতের বহুমাত্রিক সহায়তা কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করে।
ভারতের বৃহত্তর আফগান কৌশল: উন্নয়ন সহযোগিতা থেকে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা
২০২১ সালে তালিবান ক্ষমতায় ফেরা নিয়ে ভারতের মধ্যে যে দ্বিধা ছিল, ২০২৫ সালে তা স্পষ্টভাবে বদলেছে। এখন ভারত একটি pragmatic engagement নীতি অনুসরণ করছে—আদর্শিক দূরত্ব বজায় রেখেও বাস্তব কূটনৈতিক স্বার্থকে সামনে রাখছে।
ভারতের আফগান উন্নয়ন অংশীদারিত্ব ইতোমধ্যেই বিশাল:
-
৫০০টিরও বেশি প্রকল্প
-
৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ
-
বিদ্যুৎ, জল, রাস্তা, কৃষি, শিক্ষা, capacity building—সব ক্ষেত্রেই বিস্তৃত কাজ
অক্টোবর ২০২৫-এ আমির খান মুতাক্কির ঐতিহাসিক দিল্লি সফর এই সম্পর্ককে আরও কাঠামোগত করে। তার পরপরই ভারত তার Technical Mission-কে পূর্ণাঙ্গ Embassy-তে আপগ্রেড করে, যা একটি বড় কূটনৈতিক বার্তা: ভারত তালিবান সরকারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ও নিয়মিত সম্পর্ক বজায় রাখার পথে এগোচ্ছে।
ভারতের এই নতুন অবস্থান বাস্তববাদী। কারণ—
-
আফগানিস্তান দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা সমীকরণের কেন্দ্রবিন্দু
-
ISIL, Al-Qaeda, LeT, JeM-এর মতো সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক আফগান ভূখণ্ড ব্যবহার করলে ভারতের নিরাপত্তা ঝুঁকি বহুগুণ বাড়বে
-
চীনের Afghan প্রকল্প ও mineral resources-এ আগ্রহ ভারতের কৌশলগত উদ্বেগ তৈরি করছে
-
Pakistan-Taliban সম্পর্কের টানাপোড়েন ভারতকে নতুন সুযোগ দিচ্ছে কাবুলে নিজের influence বাড়ানোর
পাকিস্তানের বিমান হামলার বিরুদ্ধে ভারতের কঠোর নিন্দা
UNSC বৈঠকে ভারতের বক্তব্যের সবচেয়ে তীব্র অংশটি ছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। ডিসেম্বরের শুরুতে তালিবান বাহিনী ও পাকিস্তান সেনার সংঘর্ষের পর পাকিস্তান আফগানিস্তানের ভেতরে কয়েকটি বিমান হামলা চালায়, যাতে নারী-শিশুসহ সাধারণ মানুষ নিহত হন, এমনকি স্থানীয় ক্রিকেটাররাও মারা যান।
এ বিষয়ে ভারত বলে—
-
হামলাগুলো “acts of war”
-
এগুলো একটি “fragile and vulnerable LLDC nation”-এর বিরুদ্ধে সরাসরি আগ্রাসন
-
এটি UN Charter এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন
-
দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতার জন্য বিপজ্জনক উদাহরণ
ভারতের বক্তব্য শুধু মানবিক উদ্বেগ নয়; এর মধ্যে রয়েছে একটি কৌশলগত বার্তা: পাকিস্তানের আঞ্চলিক আচরণকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে isolate করা।
“Trade and Transit Terrorism”: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের নতুন অভিযোগ
ভারত এই আলোচনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা সামনে আনে—trade and transit terrorism।
ভারতের যুক্তি: পাকিস্তান বারবার আফগানিস্তানের বাণিজ্যিক পথ বন্ধ করে, যার ফলে landlocked আফগানিস্তানের অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়। খাদ্যদ্রব্য, ওষুধ, জ্বালানি—সব কিছুর প্রবাহ থমকে যায়।
ভারত বলছে, পাকিস্তান এই transit dependency-কে “weapon” হিসেবে ব্যবহার করছে। এটি—
-
WTO নিয়মের বিরুদ্ধে
-
UN Charter-এর বিরুদ্ধে
-
এবং একটি দুর্বল রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক coercion
এটি পাকিস্তানকে কেবল সামরিক আগ্রাসনের নয়, অর্থনৈতিক আগ্রাসনেরও অভিযুক্ত করে।
তালিবানকে নিয়ে ভারতের ‘pragmatic approach’
ভারত UNSC-তে স্পষ্ট ভাষায় বলে যে গত চার বছরে আফগানিস্তানকে শাস্তিমূলক, sanctions-ভিত্তিক নীতিতে কোনও বাস্তব ফল পাওয়া যায়নি। বরং প্রয়োজন—
-
positive incentive
-
conditional engagement
-
practical cooperation
বিশেষ করে counter-terrorism ক্ষেত্রে তালিবানকে সম্পৃক্ত করা ছাড়া বিকল্প নেই।
ভারত জোর দিয়ে বলে—
-
ISIL
-
Al-Qaeda
-
Lashkar-e-Tayyiba
-
Jaish-e-Mohammed
—এসব UN-designated terror group যাতে আফগানিস্তানকে safe haven হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব তালিবানেরও রয়েছে।
ভূরাজনৈতিক অর্থ: ভারতের দ্বিমুখী কৌশল
এই পুরো ঘটনার পটভূমিতে একটি বড় স্ট্র্যাটেজিক লেন্স রয়েছে।
১. পাকিস্তানকে আঞ্চলিকভাবে চাপে ফেলা
ভারতের তীব্র নিন্দা পাকিস্তানের কূটনৈতিক credibility ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে। পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে আফগানিস্তানকে তার “strategic depth” হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছে—ভারতের বক্তব্য এই ন্যারেটিভকে দুর্বল করে।
২. আফগানিস্তানে চীনের প্রভাব প্রতিহত করা
চীন আফগানিস্তানের lithium, copper, rare earth minerals-এ বিপুল আগ্রহ দেখাচ্ছে। পাকিস্তান-চীন (CPEC) যৌথ উদ্যোগে আফগানিস্তানকে যুক্ত করার প্রচেষ্টাও চলছে।
ভারতের বিনিয়োগ ও diplomatic engagement এই অবস্থাকে counter-balance করতে পারে।
৩. দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা চিত্রে নিজের কেন্দ্রীয় ভূমিকা প্রতিষ্ঠা
ভারত দেখাতে চায় যে—
-
সে উন্নয়ন করে
-
মানবিক সহায়তা দেয়
-
দুর্বল রাষ্ট্রকে সমর্থন করে
-
এবং আন্তর্জাতিক আইনের পক্ষে দাঁড়ায়
এভাবে ভারত নিজেকে অঞ্চলের responsible power হিসেবে উপস্থাপন করছে।
উপসংহার: ভারতের বার্তা স্পষ্ট—আফগানিস্তানে তার উপস্থিতি বাড়বে
বাগরামি হাসপাতাল প্রকল্প শুধু একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র নয়, এটি একটি রাজনৈতিক বার্তা: ভারত আফগানিস্তানে তার footprint বিস্তার করছে এবং সেই মাধ্যমে পাকিস্তানের decades-old influence-কে চ্যালেঞ্জ করছে।
UNSC-তে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর ভাষণ এবং তালিবানের সঙ্গে practical partnership—এই দুই মিলিয়ে ভারতের নতুন আফগান নীতি এখন অনেক বেশি assertive, purposeful এবং geopolitical।
ভারত বুঝেছে—আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতা তার নিরাপত্তা, তার অর্থনীতি, তার আঞ্চলিক কৌশলের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। তাই একদিকে উন্নয়ন উদ্যোগ বাড়ানো এবং অন্যদিকে পাকিস্তানের আগ্রাসী নীতির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সমর্থন তৈরি—এই দ্বিমুখী কৌশলই ভারতের বাস্তব রাজনৈতিক পথ।
