চন্দ্র, দেব ও খড়গ বংশ: পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গের প্রায় বিস্মৃত আঞ্চলিক রাজশক্তি
ভারতের মধ্যযুগীয় ইতিহাস বললেই সাধারণত পাল ও সেন সাম্রাজ্যের নামই বেশি আলোচিত হয়। কিন্তু এই দুই মহাশক্তির ছায়ায় পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক রাজবংশ—যাদের মধ্যে খড়গ, দেব ও চন্দ্র বংশ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই তিনটি বংশ মূলত প্রাচীন সমতট ও হরিকেল অঞ্চলে শাসন কায়েম করেছিল এবং প্রায় এক সহস্রাব্দ ধরে পূর্ববঙ্গের রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও অর্থনৈতিক ইতিহাসকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল।
চন্দ্র, দেব ও খড়গ বংশ ছিল পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গের কিছু গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক রাজশক্তি, যারা মূলত সমতট ও হরিকেল অঞ্চলে মধ্যযুগে শাসন করেছিল। পাল ও সেন সাম্রাজ্যের মতো সর্বভারতীয় শক্তি না হলেও এই তিন বংশ বৌদ্ধ ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা, বিক্রমপুরকেন্দ্রিক প্রশাসন, সমুদ্রবাণিজ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে সাংস্কৃতিক যোগাযোগ গড়ে তুলতে বড় ভূমিকা রাখে।
- খড়গ বংশ (৬২৫–৭১৬ খ্রি.) – বঙ্গ ও সমতটে প্রাচীন বৌদ্ধ রাজত্ব; গৌড়ের পতন ও পালের উত্থানের মাঝের শূন্যতা পূরণ করে।
- প্রাথমিক দেব বংশ (৮ম–৯ম শতক) – খড়গদের উত্তরসূরি বৌদ্ধ শাসক, সমতটকেন্দ্রিক আঞ্চলিক শক্তি।
- পরবর্তী বৈষ্ণব দেব বংশ (১২শ–১৩শ শতক) – বিক্রমপুর রাজধানী করে সেনদের পর পূর্ববঙ্গে হিন্দু রাজশক্তি প্রতিষ্ঠা করে।
- চন্দ্র বংশ (৪র্থ–১১শ শতক) – সমতট ও হরিকেলে শক্তিশালী বৌদ্ধ রাজ্য; শ্রীচন্দ্রের সময় কামরূপ পর্যন্ত অভিযান ও সমুদ্রবাণিজ্যের মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রভাব বিস্তার করে।
এই বংশগুলির শাসন ধারার মাধ্যমে পূর্ববঙ্গ বৌদ্ধ শিক্ষাকেন্দ্র, বন্দরভিত্তিক অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে।
এই রাজবংশগুলো সাম্রাজ্য গড়তে না পারলেও বৌদ্ধ ধর্মের বিকাশ, সামুদ্রিক বাণিজ্য, প্রশাসনিক সংগঠন এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে সাংস্কৃতিক বিনিময়ে অসাধারণ অবদান রেখেছিল। ইতিহাসের মূল স্রোতে তারা কিছুটা আড়ালে পড়ে গেলেও বাংলার বিকাশে তাদের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
খড়গ বংশ (৬২৫–৭১৬ খ্রি.): বাংলার প্রথম বৌদ্ধ রাজত্ব
খড়গ বংশ পূর্ববঙ্গের প্রথম সংগঠিত বৌদ্ধ রাজবংশ হিসেবে পরিচিত। এই বংশের উত্থান ঘটে গৌড় রাজ্যের পতনের পর এবং পাল সাম্রাজ্যের উত্থানের ঠিক আগের সময়ে। অর্থাৎ খড়গরা একপ্রকার রাজনৈতিক শূন্যতার মধ্যে একটি স্থিতিশীল আঞ্চলিক ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করেছিল।
খড়গ বংশের শাসন এলাকা
খড়গরা মূলত বঙ্গ ও সমতট অঞ্চল শাসন করত। বর্তমানে এই অঞ্চলগুলির অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশের কুমিল্লা, নোয়াখালি, চট্টগ্রাম ও আশেপাশের এলাকা। প্রথমদিকে তারা বঙ্গ শাসন করলেও পরে তারা সমতটও দখল করে নেয়।
উল্লেখযোগ্য শাসকগণ
খড়গ বংশের উল্লেখযোগ্য শাসকরা হলেন—
-
খড়গোদ্যম (৬২৫–৬৪০ খ্রি.) – বংশের প্রতিষ্ঠাতা
-
জাতখড়গ (৬৪০–৬৫৮ খ্রি.) – খড়গোদ্যমের পুত্র
-
দেবখড়গ (৬৫৮–৬৭৩ খ্রি.) – যার পত্নী ছিলেন রানি প্রভাবতী
-
রাজভট্ট (৬৭৩–৭০৭ খ্রি.)
-
বালভট্ট (৭০৭–৭১৬ খ্রি.) – শেষ শাসক
খড়গ শাসকরা কখনো নিজেদের “মহারাজাধিরাজ” বা সাম্রাজ্যিক উপাধি গ্রহণ করেননি, কিন্তু তারা কার্যত স্বাধীন শাসন চালাতেন।
ধর্মীয় নীতি ও প্রশাসন
খড়গ রাজারা ছিলেন দৃঢ়ভাবে বৌদ্ধ ধর্মে বিশ্বাসী। তারা বহু বৌদ্ধ বিহার ও শিক্ষাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। সেই সঙ্গে সুসংগঠিত প্রশাসন গড়ে তোলে যা পরবর্তী দেব ও চন্দ্র বংশের জন্য একটি ভিত্তি তৈরি করে।
খড়গদের পতনের মধ্য দিয়েই সমতটে নতুন শক্তির উত্থান ঘটে—প্রথম দিকের বৌদ্ধ দেব বংশ।
দেব বংশ: দুই যুগের দুই ভিন্ন রূপ
“দেব বংশ” বলতে ইতিহাসে সাধারণত দুটি আলাদা রাজবংশকে বোঝানো হয়, যাদের মধ্যে কয়েক শতাব্দীর ব্যবধান রয়েছে।
(ক) প্রাথমিক বৌদ্ধ দেব বংশ (৮ম–৯ম শতক)
খড়গ বংশের পতনের পর সমতটে যে বৌদ্ধ শক্তি গড়ে ওঠে, তাকেই প্রাথমিক দেব বংশ বলা হয়। এই বংশের ইতিহাস তুলনামূলকভাবে অস্পষ্ট, তবে তারা খড়গদের প্রশাসনিক কাঠামো বজায় রেখেই শাসন পরিচালনা করে। এই সময়েই পাল সাম্রাজ্যের উত্থান শুরু হয় এবং দেব বংশ ধীরে ধীরে গুরুত্ব হারাতে থাকে।
(খ) পরবর্তী বৈষ্ণব দেব বংশ (১২শ–১৩শ শতক)
প্রকৃতপক্ষে ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি আলোচিত দেব বংশ হলো ১২শ–১৩শ শতকের বৈষ্ণব দেব বংশ, যারা সেন রাজবংশের পতনের পরে পূর্ববঙ্গে ক্ষমতা দখল করে।
রাজধানী ও প্রশাসনিক কেন্দ্র
এই দেব বংশের রাজধানী ছিল বিক্রমপুর (বর্তমান বাংলাদেশের মুন্সিগঞ্জ জেলা)। এখান থেকেই তারা পূর্ববঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল শাসন করত।
শাসকগণ
এই বংশের শাসকদের সম্পর্কে মূল তথ্য পাওয়া যায় তিনটি তাম্রশাসন থেকে—
-
পুরুষোত্তমদেব – প্রথম শাসক, গ্রামের প্রধান (গ্রামণী) থেকে রাজা হন
-
মধুমাথন বা মধুসূদনদেব – প্রথম স্বাধীন নৃপতি
-
দামোদরদেব (১২৩১–১২৪৩ খ্রি.) – সবচেয়ে শক্তিশালী শাসক
-
দশরথদেব (ধনুজ রায়) – শেষ শক্তিশালী রাজা (১২৯৪ খ্রি. পর্যন্ত)
দামোদরদেবের সাম্রাজ্য বিস্তার
দামোদরদেব গ্রহণ করেছিলেন এক দীর্ঘ রাজকীয় উপাধি—
“অরিরাজ-চানুর-মাধব-সকল-ভূপতি-চক্রবর্তী”।
তার শাসনকালে দেব রাজ্য বিস্তৃত হয় কুমিল্লা–নোয়াখালি–চট্টগ্রাম পর্যন্ত।
দিল্লি সালতানাতের সঙ্গে সম্পর্ক
১২৮১ খ্রিস্টাব্দে দশরথদেব দিল্লির সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবন-এর সঙ্গে মিত্রতা করেন, যা প্রমাণ করে দেব বংশ উত্তর ভারতের মুসলিম শক্তির বাস্তবতা মেনে নিয়ে কূটনীতি করত।
শেষ পর্যন্ত তুর্কি আক্রমণ ও অভ্যন্তরীণ দুর্বলতার কারণে দেব বংশের পতন ঘটে।
চন্দ্র বংশ: সমতট ও হরিকেলের বৌদ্ধ মহাশক্তি
চন্দ্র বংশ ছিল এই তিনটির মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ও প্রভাবশালী রাজবংশ। তারা শুধু সমতট নয়, হরিকেল অঞ্চলেরও শাসক ছিল এবং বাংলাকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করেছিল।
উত্থান ও সময়কাল
চন্দ্র বংশের উত্থান ঘটে আনুমানিক ৪র্থ শতকে, কিন্তু প্রকৃত শক্তি সঞ্চারিত হয় ৯ম–১০ম শতকে। তারা ছিল ভারতের শেষ বড় বৌদ্ধ রাজবংশগুলির একটি।
শ্রীচন্দ্র (৯৩০–৯৭৫ খ্রি.): স্বর্ণযুগ
চন্দ্র বংশের শ্রেষ্ঠ শাসক ছিলেন শ্রীচন্দ্র। তার সময়েই এই রাজবংশ সর্বোচ্চ সমৃদ্ধি লাভ করে।
-
প্রশাসনিক কেন্দ্র স্থানান্তরিত হয় বিক্রমপুরে
-
তিনি কামরূপ (আসাম) পর্যন্ত সামরিক অভিযান চালান
-
চোল শিলালিপিতে তাকে “বঙ্গালদেশের রাজা” বলা হয়েছে
ধর্মীয় গুরুত্ব
চন্দ্র রাজারা ছিলেন তান্ত্রিক মহাযান বৌদ্ধ ধর্মের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। তাদের রাজ্য ছিল সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশে বৌদ্ধ ধর্মের শেষ বড় আশ্রয়স্থলগুলির অন্যতম।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রভাব
চন্দ্রদের সময়েই বাংলার বৌদ্ধ দর্শন, স্থাপত্য ও শিল্প—
-
মায়ানমার
-
থাইল্যান্ড
-
ইন্দোনেশিয়া
-
ভিয়েতনাম
এই সব অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। জাভার উপকূলে পাওয়া দশম শতকের জাহাজডুবির ধ্বংসাবশেষ এই সামুদ্রিক বাণিজ্যের প্রত্যক্ষ প্রমাণ।
গোবিন্দচন্দ্র ও পতন
চন্দ্র বংশের শেষ শাসক ছিলেন গোবিন্দচন্দ্র (১০২০–১০৪৫ খ্রি.)।
তার শাসনকালেই ঘটে—
-
চোল সম্রাট রাজেন্দ্র চোলের আক্রমণ (১০২১–১০২৪)
-
এরপর কালাচুরি রাজা কর্ণদেবের আক্রমণ (১০৪৯)
এই দ্বিমুখী সামরিক চাপে চন্দ্র বংশ সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। লোককথা অনুযায়ী, গোবিন্দচন্দ্র পরে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন।
| Dynasty | Approx. Period (CE) | Core Region | Religion | Key Rulers | Historical Role / Fate |
|---|---|---|---|---|---|
| Khadga Dynasty | c. 625 – 716 CE | Vanga & Samatata (Eastern Bengal) | Buddhist | Khadgodyama, Jatakhadga, Devakhadga, Rajabhatta, Balabhatta | Early regional Buddhist power between the fall of Gauda and the rise of the Pala Empire; laid the administrative and political foundations later used by the Deva and Chandra dynasties. |
| Early Buddhist Deva Dynasty | c. 8th – 9th century CE | Samatata | Buddhist | Minor regional rulers (names less clearly preserved) | Succeeded the Khadgas in Samatata; functioned as a transitional Buddhist power under the shadow of the expanding Pala Empire. |
| Chandra Dynasty | c. 4th – c. 11th century CE (peak c. 930 – 1045 CE) | Samatata & Harikela; later Vangaladesha | Buddhist (Tantric / Mahayana) | Srichandra, Ladahachandra, Govindachandra | Major Buddhist power of southeastern Bengal; shifted centre to Bikrampur, led campaigns into Kamarupa, developed strong maritime trade links with Southeast Asia; collapsed after attacks by Rajendra Chola I and Kalachuri king Karnadeva. |
| Varman Dynasty | c. 1035 – 1150 CE | Harikela & parts of southeastern Bengal | Hindu | Various regional rulers (post-Chandra phase) | Took control of Harikela after the decline of the Chandra dynasty; acted as a bridge between the Buddhist polities and the later Vaishnava Devas. |
| Later Vaishnava Deva Dynasty | c. 12th – late 13th century CE (to c. 1294) | Bikrampur, Comilla–Noakhali–Chittagong zone | Hindu (Vaishnava) | Purushottamadeva, Madhumathana/Madhusudanadeva, Damodaradeva, Dasharathadeva (Danuj Rai) | Rose after the decline of the Sena Empire; made Bikrampur the capital, expanded over eastern Bengal; Damodaradeva took grand imperial titles, and Dasharathadeva allied with Delhi Sultan Ghiyas-ud-Din Balban before the dynasty eventually succumbed to Turko-Afghan expansion. |
সমতট ও হরিকেল: ভূগোল ও রাজনৈতিক গুরুত্ব
সমতট
সমতট বলতে বোঝায়—
-
ঢাকা
-
বরিশাল
-
সিলেট
-
খুলনা
-
চট্টগ্রাম
এই অঞ্চল ছিল বৌদ্ধ ধর্ম, বন্দর বাণিজ্য ও আন্তর্জাতিক সংযোগের কেন্দ্র।
হরিকেল
হরিকেল অন্তর্ভুক্ত করত—
-
বর্তমান সিলেট ও চট্টগ্রাম
-
ত্রিপুরা
-
দক্ষিণ আসামের কাছাড় অঞ্চল
হরিকেল ছিল প্রায় ৫০০ বছর ধরে একটি স্বাধীন জনপদ, পরে তা চন্দ্র, বর্মণ ও দেবদের শাসনে যায়।
সামুদ্রিক বাণিজ্য ও আরব সংযোগ
চন্দ্ররা ছিল বাংলার ইতিহাসের প্রথম বৃহৎ সামুদ্রিক শক্তি।
-
আরব বণিকদের সঙ্গে সরাসরি বাণিজ্য
-
স্বর্ণ, রূপা, মশলা, বস্ত্র ও ব্রোঞ্জ শিল্পের রপ্তানি
-
চট্টগ্রাম ও তাম্রলিপ্ত ছিল প্রধান বন্দর
এই বাণিজ্যের মাধ্যমেই পূর্ববঙ্গ আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে যুক্ত হয়।
রাজবংশগুলির ধারাবাহিক উত্তরাধিকার
ক্রমিক ভাবে শাসন বদলের ধারা ছিল—
-
খড়গ বংশ → প্রাথমিক দেব বংশ → চন্দ্র বংশ
-
চন্দ্র পতনের পরে → বর্মণ বংশ (১০৩৫–১১৫০)
-
বর্মণদের পরে → পরবর্তী বৈষ্ণব দেব বংশ (১২শ–১৩শ শতক)
এই ধারাবাহিক শাসন পরিবর্তন পূর্ববঙ্গের রাজনৈতিক ইতিহাসকে অত্যন্ত গতিশীল করে তোলে।
উপসংহার: বিস্মৃত শাসকদের ঐতিহাসিক গুরুত্ব
যদিও খড়গ, দেব ও চন্দ্র বংশ কখনো পাল বা সেনদের মতো বৃহৎ সাম্রাজ্য গড়ে তুলতে পারেনি, তবুও—
-
তারা বৌদ্ধ ধর্মকে দীর্ঘকাল টিকিয়ে রেখেছিল
-
বাংলাকে সামুদ্রিক বাণিজ্যের আন্তর্জাতিক মানচিত্রে তুলে ধরেছিল
-
প্রশাসন, কূটনীতি ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ভিত্তি স্থাপন করেছিল
-
উত্তর ভারত, দক্ষিণ ভারত ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সংযোগ তৈরি করেছিল
এই রাজবংশগুলিকে বাদ দিয়ে বাংলার মধ্যযুগীয় ইতিহাস কখনোই সম্পূর্ণ হতে পারে না। তারা ছিল ইতিহাসের নীরব নির্মাতা—যাদের কীর্তি সাম্রাজ্যের আড়ালে ঢাকা পড়ে গিয়েছে, কিন্তু যাদের অবদান আজও পূর্ববঙ্গের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক শিকড়ে গভীরভাবে প্রোথিত।
Who were the Khadga, Deva, and Chandra dynasties?
The Khadga, Deva, and Chandra dynasties were regional ruling powers of eastern and southeastern Bengal during the early medieval period. They mainly controlled the ancient regions of Samatata and Harikela and played a key role in preserving Buddhism, regional politics, and maritime trade.
Where was the Samatata kingdom located?
Samatata roughly corresponds to present-day eastern and southern Bangladesh, including Dhaka, Comilla, Noakhali, Barisal, Sylhet, and Chittagong. It was a major Buddhist and commercial center in ancient Bengal.
What was the importance of the Chandra dynasty?
The Chandra dynasty was the most powerful Buddhist dynasty of southeastern Bengal. It promoted Tantric Buddhism, expanded maritime trade with Southeast Asia, shifted the capital to Bikrampur, and resisted major invasions until it collapsed under attacks by Rajendra Chola I and the Kalachuri kings.
What religion did the Khadga and Deva dynasties follow?
The Khadga dynasty and the early Deva dynasty were Buddhist. However, the later Deva dynasty of the 12th–13th centuries followed Vaishnavism and ruled as a Hindu power after the fall of the Sena dynasty.
Why did the Chandra dynasty decline?
The Chandra dynasty declined due to repeated foreign invasions. Rajendra Chola I attacked southeastern Bengal between 1021–1024 CE, followed by Kalachuri king Karnadeva in 1049 CE. These military blows led to the final collapse of Chandra rule.
What happened after the Chandra dynasty fell?
After the fall of the Chandra dynasty, the Hindu Varman dynasty took control of Harikela. Later, the Vaishnava Deva dynasty replaced the Varmans and ruled eastern Bengal until the late 13th century.