গুপ্ত সাম্রাজ্য ও বঙ্গের ভূমিকা: একটি কৌশলগত, প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিশ্লেষণ (২৪০–৫৫০ খ্রি.)

ভারতীয় ইতিহাসে গুপ্ত যুগকে প্রায়শই “সোনালি যুগ” হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এই সময়টিতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, উন্নত প্রশাসন, বিস্তৃত বাণিজ্য, বিদ্যা-বিজ্ঞান ও শিল্পকলা—সব মিলিয়ে ভারতীয় উপমহাদেশ এক অভূতপূর্ব অগ্রযাত্রা প্রত্যক্ষ করে। এই অগ্রগতির কেন্দ্রীয় স্তম্ভগুলোর একটি ছিল বঙ্গ। ভৌগোলিক অবস্থান, প্রাকৃতিক সম্পদ, সমুদ্রবাণিজ্য, রাজনৈতিক সংযুক্তি, প্রশাসনিক কাঠামো এবং সাংস্কৃতিক বিকাশ—সব মিলিয়ে গুপ্ত সাম্রাজ্যের একটি অপরিহার্য ও কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশে পরিণত হয়েছিল প্রাচীন বঙ্গ অঞ্চল।

এই প্রবন্ধে গুপ্ত সাম্রাজ্যের উদ্ভব-পরিক্রমা, বঙ্গের রাজনৈতিক অন্তর্ভুক্তি, প্রশাসনিক গঠন, বাণিজ্য ও অর্থনীতি, নালন্দা কেন্দ্রিক জ্ঞানচর্চার বিস্তার, শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশ এবং গুপ্ত পতনের পর বঙ্গের সামাজিক-রাজনৈতিক রূপান্তর বিশদভাবে আলোচনা করা হলো।l


১. বঙ্গের রাজনৈতিক সংযুক্তি ও গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রসার

গুপ্ত সাম্রাজ্যের উত্থান

গুপ্ত সাম্রাজ্যের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন শ্রীগুপ্ত (২৪০–২৮০ খ্রি.)। তাঁর উত্তরসূরি ঘাটোত্কচ এবং পরবর্তীতে চন্দ্রগুপ্ত প্রথম উত্তর ভারতের বৃহৎ অংশে একটি সুবিন্যস্ত সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। গবেষকদের মতে, গুপ্তদের প্রাথমিক শক্তিক্ষেত্র ছিল মগধ-বঙ্গ-বিদর্ভ অঞ্চল মিলিয়ে পূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা।

চন্দ্রগুপ্ত প্রথম (৩২০–৩৩৫ খ্রি.) রাজনৈতিক জোট, কূটনৈতিক বিয়ে এবং সামরিক শক্তির সমন্বয়ে বঙ্গসহ পূর্ব ভারতের নানা ভূখণ্ডে তার কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু প্রকৃত অর্থে বঙ্গকে সম্পূর্ণভাবে গুপ্ত সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেন তাঁর পুত্র সমুদ্রগুপ্ত (৩৩৫–৩৭৫ খ্রি.), যাকে ‘ভারতের নেপোলিয়ন’ বলা হয়।

সমুদ্রগুপ্তের বঙ্গ-বিজয় ও আলাহাবাদ স্তব

সমুদ্রগুপ্তের শাসনামল প্রাচীন ভারতীয় সামরিক ইতিহাসে একটি মাইলফলক। তাঁর সামরিক বিজয় ও রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য দলিল হলো আলাহাবাদ প্রাশস্তি, যেখানে কবি হরিষেণ সমুদ্রগুপ্তের পূর্ব, দক্ষিণ, পশ্চিম, অরণ্যক ও সীমান্তবর্তী রাজ্যবিজয়ের বিবরণ দিয়েছেন।

এই প্রাশস্তির পূর্ব ভারত সম্পর্কিত অংশে উল্লেখ আছে—

সমুদ্রগুপ্ত বঙ্গের বিভিন্ন প্রধানত্ব, ক্ষুদ্র রাজ্য ও উপজাতীয় ক্ষমতাকেন্দ্রকে পরাস্ত করেন।

৪র্থ শতকের মধ্যভাগে বঙ্গের নিম্নলিখিত অঞ্চলসমূহ গুপ্ত সাম্রাজ্যের অধীনে আসে—

  • পুন্ড্রবর্ধন (উত্তরবঙ্গ)
  • রাঢ় (দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গ)
  • সমতট ছাড়া পুরো বঙ্গ

সমতট (আধুনিক কমিল্লা–নোয়াখালী অঞ্চল) একটি স্বাধীন রাজ্য হিসেবে কিছুটা সময় অস্তিত্ব বজায় রাখলেও পরবর্তীতে গুপ্ত প্রভাবের আওতায় আসে।

গুপ্ত সাম্রাজ্যে বঙ্গের কৌশলগত মূল্য

বঙ্গ অঞ্চল গুপ্ত সম্রাটদের কাছে কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল কারণ—

  1. এটি সম্পূর্ণ গঙ্গা–ব্রহ্মপুত্র ডেল্টা অঞ্চলের প্রবেশপথ।
  2. পূর্ব ভারতের প্রধান সামুদ্রিক বন্দর তম্রলিপ্তের অবস্থান এখানে।
  3. পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্যপথ বঙ্গ হয়ে নিয়ন্ত্রিত হতো।
  4. বঙ্গের কৃষি উৎপাদন সাম্রাজ্যের খাদ্যসংস্থান ও রাজস্বের ভিত্তি মজবুত করত।

২. গুপ্ত যুগে বঙ্গের প্রশাসনিক কাঠামো

গুপ্ত শাসনব্যবস্থা ছিল অত্যন্ত সুসংগঠিত, বিকেন্দ্রীকৃত কিন্তু কার্যকর। কেন্দ্রীয় সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে একটি সুস্পষ্ট শ্রেণিবিন্যাস ছিল। এর ফলে দূরবর্তী প্রদেশগুলোও সুশাসন ও রাজস্ব সংগ্রহে দক্ষ হয়ে ওঠে।

বঙ্গের প্রধান প্রশাসনিক ইউনিট: ভুক্তি

গুপ্ত আমলে সমগ্র ভারত সাম্রাজ্যকে একাধিক ‘ভুক্তি’ বা প্রদেশে ভাগ করা হতো। বঙ্গ অঞ্চলে দুইটি প্রধান ভুক্তি ছিল—

  1. পুন্ড্রবর্ধন ভুক্তি (উত্তরবঙ্গ)
  2. বর্ধমান বা রাঢ় ভুক্তি (দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গ)

প্রতিটি ভুক্তির শাসক ছিলেন উপরিক (Uparika), যাকে সরাসরি সম্রাট নিয়োগ করতেন।

ভুক্তির অন্তর্গত প্রশাসনিক ইউনিটসমূহ

গুপ্ত প্রশাসন একাধিক স্তরে বিভক্ত ছিল—

  • ভুক্তি — প্রাদেশিক স্তর
  • বিশয় — জেলা
  • মণ্ডল — উপ-জেলা বা সার্কেল
  • বিথি — ব্লক-সদৃশ প্রশাসনিক ইউনিট
  • গ্রাম — মৌলিক ইউনিট

প্রতিটি প্রশাসনিক স্তরে নিজস্ব দপ্তর ছিল, যাকে বলা হতো অধিকারণ, এবং প্রশাসনিক সদরকে বলা হতো অধিষ্ঠান

দামোদরপুর তাম্রলিপি: গুপ্ত প্রশাসনের প্রধান প্রমাণ

বঙ্গের গুপ্ত প্রশাসনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নদলিল হলো দামোদরপুর তাম্রলিপি (৪৭৮ খ্রি.)—বুধগুপ্তের শাসনামলে জারি।

এই লিপির মাধ্যমে জানা যায়—

  1. পুন্ড্রবর্ধন ছিল উত্তরবঙ্গের প্রশাসনিক কেন্দ্র।
  2. পুন্ড্রনগর (মহাস্থান) ছিল গুপ্ত আমলের সরকারি সদর।
  3. জমি দান, কর, আইন-শৃঙ্খলা সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে ছিল।

এই দলিল নিশ্চিত করে যে ৫ম শতকের শেষ পর্যন্ত বঙ্গ দৃঢ়ভাবে গুপ্ত সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল।


৩. গুপ্ত আমলে বঙ্গের অর্থনীতি ও বাণিজ্যের বিস্তার

কৃষি উত্পাদন ও সম্পদভাণ্ডার

বঙ্গের ভূপ্রকৃতি—গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্রের ডেল্টা অঞ্চল—অত্যন্ত উর্বর। ফলে গুপ্ত যুগে এখানে প্রচুর কৃষিপণ্য উৎপাদিত হতো—

  • ধান
  • আখ
  • পাট
  • তিল
  • ডাল
  • তৈলবীজ

এগুলো অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যকে শক্তিশালী করে এবং রাজস্ব বৃদ্ধি করে।

তম্রলিপ্ত: উত্তর ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রবন্দর

গুপ্ত আমলে বঙ্গের সর্বাপেক্ষা সমৃদ্ধ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের কেন্দ্র ছিল তম্রলিপ্ত (আধুনিক তমলুক, পশ্চিম মেদিনীপুর)

তম্রলিপ্ত বন্দর কেন গুরুত্বপূর্ণ ছিল—

  1. এখানে ছিল খনিজ—বিশেষত তামা—যা ঘাটশিলা অঞ্চল থেকে এনে রপ্তানি করা হতো।
  2. এটি ছিল উত্তর ভারতের প্রধান সমুদ্রবাণিজ্যকেন্দ্র।
  3. স্থল ও জলের সংমিশ্রিত বাণিজ্যপথের মিলনবিন্দু ছিল তম্রলিপ্ত।

হিউয়েন সাঙের চোখে তম্রলিপ্ত

চীনা ভিক্ষু হিউয়েন সাঙ ৭ম শতকে (গুপ্তোত্তর সময়ে) ভারত ভ্রমণে এসে তম্রলিপ্তের বিস্তৃতিকে ‘‘২৫০ মাইল শহরাঞ্চল’’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি উল্লেখ করেন—

  • তম্রলিপ্ত থেকে নৌবাণিজ্য চলে জাভা, শ্রীলঙ্কা, চীন ও মালয় অঞ্চলে
  • প্রধান রপ্তানিপণ্য ছিল—রেশম, নীল, তামা, সুগন্ধি দ্রব্য
  • এটি ছিল বৌদ্ধ ধর্মপ্রচারক সন্ন্যাসীদের অন্যতম যাত্রাপথ

তম্রলিপ্ত থেকে তিনটি প্রধান সমুদ্রপথ

  1. আরাকান উপকূল হয়ে বার্মা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া
  2. পালৌরা হয়ে মালয় উপদ্বীপ ও দূর প্রাচ্য
  3. কলিঙ্গ-করোমণ্ডল উপকূল হয়ে দক্ষিণ ভারত ও শ্রীলঙ্কা

এসব পথের মাধ্যমে বঙ্গ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সভ্যতার সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ স্থাপন করে।


৪. সাংস্কৃতিক বিকাশ: শিক্ষা, ধর্ম ও স্থাপত্য

গুপ্তদের ধর্মীয় উদারতা

গুপ্ত সম্রাটরা প্রধানত হিন্দু হলেও বৌদ্ধধর্ম, জৈনধর্ম ও স্থানীয় উপাসনার প্রতি তাঁরা বিস্ময়কর উদারতা দেখিয়েছেন। ফলে বঙ্গসহ পূর্ব ভারত একটি বহুধর্মীয়, বহুসাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে।

নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্থান

কুমারগুপ্ত প্রথম (৪১৪–৪৪৫ খ্রি.)-এর পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্বের প্রথম আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় নালন্দা (৪২৭ খ্রি.)।

এটি বাংলার নিকটবর্তী হওয়ায় এখানকার শিক্ষার্থী, পণ্ডিত ও সন্ন্যাসীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিল।

নালন্দার বৈশিষ্ট্য—

  • ১০,০০০ শিক্ষার্থী
  • ২,০০০ শিক্ষক
  • উচ্চ পর্যায়ের গবেষণা
  • বৌদ্ধ দর্শনের প্রধান কেন্দ্র
  • গণিত, চিকিৎসাবিজ্ঞান, যুক্তিবিদ্যা, জ্যোতির্বিদ্যার বিশেষ চর্চা

গুপ্ত শিল্প ও স্থাপত্যে বাংলার ভূমিকা

গুপ্ত যুগে—
  • ইট-নির্মিত বৌদ্ধ বিহার
  • স্তূপ
  • হিন্দু মন্দির
  • অলংকৃত খোদাই শিল্প
  • টেরাকোটা নির্মাণশৈলী

সবই অভূতপূর্ব উচ্চতা পায়। বাংলার প্রাচীন স্থাপত্য যেমন মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর, বিকার্নি মঠ—গুপ্ত শৈলীর প্রভাব স্পষ্ট।


৫. গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতন ও বঙ্গের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক রূপান্তর

৫ম শতকের শেষভাগ থেকে গুপ্ত সাম্রাজ্য দুর্বল হতে থাকে। এর প্রধান কারণগুলো—

  1. হুণ আক্রমণ
  2. কেন্দ্রীয় প্রশাসনের দুর্বলতা
  3. রাজপরিবারে উত্তরাধিকার সংকট
  4. প্রাদেশিক গভর্নরদের স্বাধীনতা বৃদ্ধি

এই পরিস্থিতিতে বঙ্গেও স্থানীয় রাজারা ক্রমে স্বাধীনতা ঘোষণা করতে শুরু করেন।

গুপ্ত পতন ও বঙ্গের নতুন যুগ

৬ষ্ঠ শতকে গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের পর বঙ্গ কয়েকটি ছোট রাজ্যে বিভক্ত হয়। পরবর্তীতে এই অঞ্চল—

  • গৌড় রাজবংশ
  • খারবেল (বঙ্গ-সমতটের শাসকগোষ্ঠী)
  • পাল সাম্রাজ্য

ক্রমে পূর্ব ভারতের ক্ষমতার কেন্দ্র হয়ে ওঠে।

বিশেষত পালরা (৮ম–১২শ শতক) গুপ্ত নীতি, প্রশাসনিক অভ্যাস এবং সাংস্কৃতিক ধারাকে উত্তরাধিকারসূত্রে নিয়ে একটি নতুন প্রাচ্য সাম্রাজ্যের উত্থানের ভিত্তি স্থাপন করে।


৬. উপসংহার

গুপ্ত সাম্রাজ্যের পূর্বাঞ্চলীয় শক্তিভিত্তি হিসেবে বঙ্গ ছিল এক অনুপম রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কেন্দ্র। এই অঞ্চলের গুরুত্ব তিনটি প্রধান স্তম্ভে নির্ভর করেছিল—

১. কৌশলগত ও রাজনৈতিক মূল্য

বঙ্গ গুপ্ত সাম্রাজ্যের পূর্ব সীমান্ত রক্ষা করত। সমুদ্রবাণিজ্যের প্রবেশপথ হওয়ায় সাম্রাজ্যের সামরিক-অর্থনৈতিক ক্ষমতা বিস্তারে এটি ছিল অপরিহার্য।

২. অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি

তম্রলিপ্ত বন্দর, কৃষি উর্বরতা, খনিজ সম্পদ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য—বঙ্গকে গুপ্ত ভারতের একটি প্রাচুর্যমণ্ডিত অর্থনৈতিক কেন্দ্র করে তুলেছিল।

৩. সাংস্কৃতিক উন্মেষ

নালন্দাকে কেন্দ্র করে শিক্ষা, দর্শন, বিজ্ঞান ও শিল্প-সংস্কৃতির এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়, যার গভীর প্রভাব পরবর্তীকালের পাল, সেন ও বৌদ্ধ-হিন্দু সাংস্কৃতিক ধারা পর্যন্ত বিস্তৃত।

গুপ্ত যুগের পতন সত্ত্বেও বঙ্গের সাংস্কৃতিক, শাসনব্যবস্থার এবং বাণিজ্যের ভিত্তি এতটাই শক্তপোক্ত ছিল যে পরবর্তী সমস্ত বঙ্গীয় রাষ্ট্রসমূহ এই ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যায়। ফলে গুপ্ত সাম্রাজ্যের “সোনালি যুগ”-এর চিহ্ন বঙ্গের ইতিহাসে আজও শোভা পায়।

FAQS 

Q1. গুপ্ত সাম্রাজ্যে বঙ্গ এত গুরুত্বপূর্ণ ছিল কেন?

বঙ্গ ছিল পূর্ব ভারতের কৃষি, সমুদ্রবাণিজ্য, বন্দরনগর এবং প্রশাসনিক কেন্দ্র। তম্রলিপ্ত বন্দর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রধান গেটওয়ে হিসেবে কাজ করত।

Q2. পুন্ড্রবর্ধন ভুক্তি কোন অঞ্চলে ছিল?

এটি প্রাচীন উত্তরবঙ্গের প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল এবং মহাস্থান (পুন্ড্রনগর) ছিল এর রাজধানী।

Q3. গুপ্ত সাম্রাজ্যে তম্রলিপ্ত বন্দরের ভূমিকা কী ছিল?

এটি ছিল গুপ্ত ভারতের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রধান বন্দর, যেখান থেকে চীন, শ্রীলঙ্কা, জাভা ও মালয় অঞ্চলে বাণিজ্য চলত।

Q4. নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় কোন সম্রাট প্রতিষ্ঠা করেন?

কুমারগুপ্ত প্রথম নালন্দার ভিত্তি স্থাপন করেন এবং পরে গুপ্ত শাসকেরা এর বিস্তার ঘটান।

Q5. সমতট কি গুপ্ত সাম্রাজ্যের অংশ ছিল?

প্রাথমিকভাবে স্বাধীন থাকলেও পরবর্তীতে গুপ্ত প্রভাব বৃদ্ধি পায়; এটি আধুনিক কমিল্লা-নোয়াখালী অঞ্চল।

গুপ্ত বংশ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

যদি আপনার কোনও বিষয়ে ডাউট থাকে বা কোনও বিষয় suggest করতে চান তাহলে মেল করুন!

নবীনতর পূর্বতন

banglafacts 4