বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও নতুন নিরাপত্তা জ্যামিতি
২০২৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনার পতন এবং নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উত্থানের পর ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এক নতুন কৌশলগত অনিশ্চয়তার মধ্যে প্রবেশ করেছে। এই পরিবর্তনের পর থেকেই জঙ্গি বন্দিদের জেল ভাঙা, সংখ্যালঘুদের উপর হামলার বৃদ্ধি, বাংলাদেশ-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা সম্পর্কের পুনরুত্থান, এবং চীনের সিলিগুড়ি করিডরের কাছাকাছি অবকাঠামো প্রকল্পে আগ্রহ—সব মিলিয়ে ভারতের পূর্ব সীমান্তে এক নতুন নিরাপত্তা সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
চীন ও তুরস্কের সহায়তায় বাংলাদেশের দ্রুত সামরিক আধুনিকীকরণ এই পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। এসব ঘটনাই মিলে এমন এক ধারাবাহিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয় যা ভারতের পূর্ব সীমান্তের কৌশলগত পরিসর সংকুচিত করছে এবং ভবিষ্যতের সম্ভাব্য সংঘাতে “ত্রিমুখী ঘেরাও”-এর ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
ঢাকায় রাজনৈতিক ভাঙন
২০২৪ সালের আগস্টে ঢাকায় যে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়, তা ভারতের পূর্ব নিরাপত্তা সমীকরণকে আমূল পাল্টে দেয়। ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভ ধীরে ধীরে সারাদেশব্যাপী আন্দোলনে রূপ নেয়, যার ফলশ্রুতিতে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন এবং ৮ আগস্ট মুহাম্মদ ইউনুস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এটি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা হিসেবে দেখলেও, ভারতের নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা তৎক্ষণাৎ বুঝে যান—ভারত এক নির্ভরযোগ্য অংশীদারকে হারিয়েছে। হাসিনা সরকার সীমান্তের উগ্রপন্থী আস্তানাগুলো ভেঙে দিয়েছিল, আর দিল্লি-ঢাকা নিরাপত্তা সহযোগিতা ছিল অভূতপূর্ব।
কিন্তু ইউনুস প্রশাসনের প্রথম দিকেই দেশজুড়ে জেল ভাঙার ঘটনায় জঙ্গি সংগঠন যেমন জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (JMB) ও আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (ABT)-এর নেতারা পালিয়ে যায়। এই সংগঠনগুলোর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরার সীমান্তে পুরনো যোগাযোগ রয়েছে—যা ভারতের জন্য সরাসরি নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করতে পারে।
নতুন ত্রিভুজ: চীন–পাকিস্তান–বাংলাদেশ
২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকার পররাষ্ট্রনীতির নতুন রূপরেখা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। জুন ২০২৫-এ চীনের কুনমিং শহরে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম চীন–পাকিস্তান–বাংলাদেশ ত্রিপাক্ষিক বৈঠক। আনুষ্ঠানিকভাবে তারা “আঞ্চলিক সংযোগ ও সহযোগিতা”-র কথা বললেও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা একে ভারত-বিরোধী কৌশলগত সমন্বয় হিসেবে দেখছেন।
এই জোটের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটও গুরুত্বপূর্ণ—ষাটের দশক থেকেই চীন ও পাকিস্তান ভারতকে ঘিরে সহযোগিতা করছে। এখন বাংলাদেশ যোগ দেওয়ায় দক্ষিণ এশিয়ার ভারসাম্য নতুনভাবে ঝুঁকছে। চীনের অর্থায়ন, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ও বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান—এই তিন মিলিয়ে ভারতের জন্য এটি এক বহুমাত্রিক চাপের উৎস।
সামরিক মাত্রা: বাংলাদেশের দ্রুত আধুনিকীকরণ
“ফোর্সেস গোল ২০৩০” কর্মসূচির অধীনে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী অনেকদিন ধরেই আধুনিকীকরণের পথে ছিল। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার এ প্রক্রিয়াকে আরও ত্বরান্বিত করেছে।
অক্টোবর ২০২৫-এ বাংলাদেশ চীনের কাছ থেকে প্রায় ২.২ বিলিয়ন ডলারের ২০টি জে-১০সিই যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি অনুমোদন করে—যা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা ক্রয়। এই চুক্তি স্পষ্টভাবে চীনের সামরিক নীতি ও সরবরাহ-শৃঙ্খলের সঙ্গে বাংলাদেশের সামঞ্জস্যের ইঙ্গিত দেয়।
বাংলাদেশ একইসঙ্গে পাকিস্তান-চীন যৌথভাবে নির্মিত JF-17 ব্লক III বিমান কেনার দিকেও আগ্রহী এবং তুরস্কের সঙ্গে আকাশ প্রতিরক্ষা ও ড্রোন প্রযুক্তি নিয়ে চুক্তির প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এসব মিলে এক নতুন সামরিক জোটের রূপরেখা তৈরি হচ্ছে, যেখানে তিন দেশ—চীন, পাকিস্তান ও তুরস্ক—বাংলাদেশকে ব্যবহার করছে এক আঞ্চলিক ভারসাম্যহীনতার উপকরণ হিসেবে।
লালমনিরহাট: ভারতের “চিকেন’স নেক”-এর ছায়ায় নতুন আশঙ্কা
সবচেয়ে উদ্বেগজনক খবর এসেছে লালমনিরহাট থেকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত এই বিমানঘাঁটিকে চীনের সহায়তায় পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টা চলছে বলে রিপোর্ট পাওয়া গেছে। স্থানটি ভারতের সীমান্ত থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে এবং সরাসরি সিলিগুড়ি করিডরের নাগালে।
যদি এটি “ডুয়াল-ইউজ” অর্থাৎ বেসামরিক-সামরিক উভয় কাজে ব্যবহৃত ঘাঁটি হিসেবে গড়ে ওঠে, তবে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সংযোগ শিরা—সিলিগুড়ি করিডর—এক নজিরবিহীন হুমকির মুখে পড়বে।
শিলিগুড়ি করিডর: ভারতের কৌশলগত দুর্বলতম বিন্দু
১৭–২২ কিলোমিটার প্রস্থের শিলিগুড়ি করিডর ভারতের মূল ভূখণ্ডকে আটটি উত্তর-পূর্ব রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত করে। নেপাল, ভূটান, বাংলাদেশ ও চীনের সীমান্তের এত কাছাকাছি এ সংযোগরেখা ভারতের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই এক “জিওস্ট্র্যাটেজিক নাইটমেয়ার।”
যদি এই অঞ্চলে কোনো প্রতিপক্ষ স্থায়ী নজরদারি বা গোয়েন্দা উপস্থিতি স্থাপন করে, তবে ভারতের সামরিক চলাচল, রসদ পরিবহন এবং প্রতিরক্ষা প্রস্তুতিতে গভীর প্রভাব ফেলবে। তাই ভারত ইতোমধ্যেই এ অঞ্চলে একাধিক বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, দ্রুত প্রতিক্রিয়াশীল বাহিনী এবং গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করেছে।
সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও চোরাচালান
ভারত-বাংলাদেশের ৪,০৯৬ কিমি দীর্ঘ সীমান্ত পুরোপুরি সুরক্ষিত নয়। নদীনির্ভর ভূমি ও জনবসতির কারণে বহু অংশে বেড়া দেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে মাদক, অস্ত্র ও মানব পাচার চলতেই থাকে।
২০২৪ সালের আগস্টের পর এই সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা বেড়েছে বলে রিপোর্ট পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা দুর্বল হলে এ দিকের জঙ্গি নেটওয়ার্কগুলো আবার সক্রিয় হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
উত্তর-পূর্বের বিদ্রোহ: আবার কি জেগে উঠবে?
গত ১৫ বছরে ভারত উত্তর-পূর্বাঞ্চল শান্ত করতে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছিল—যার বড় কৃতিত্ব ছিল বাংলাদেশের সহযোগিতা। কিন্তু এখন যদি সেই সহযোগিতা দুর্বল হয়, তবে সুপ্ত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো আবার মাথা তুলতে পারে।
এর প্রতিকার একমাত্র দ্বিমুখী কৌশলে সম্ভব—একদিকে কঠোর কিন্তু আইনসম্মত সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান, অন্যদিকে উন্নয়ন, কর্মসংস্থান ও শিক্ষা সুযোগের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের আস্থা অর্জন।
বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন ও সম্ভাব্য শরণার্থী সঙ্কট
২০২৪–২৫ সালের রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক সহিংসতার খবর পাওয়া যায়—মন্দিরে হামলা, ঘরবাড়ি পোড়ানো, হত্যাকাণ্ড। যদি এ ধারা অব্যাহত থাকে, তবে সীমান্তবর্তী ভারতীয় রাজ্য যেমন আসাম ও ত্রিপুরায় শরণার্থী স্রোত দেখা দিতে পারে, যা স্থানীয় রাজনীতিকে উত্তপ্ত করবে।
“গ্রেটার বাংলাদেশ” তত্ত্ব: বিপজ্জনক বর্ণনা
বছরের পর বছর “গ্রেটার বাংলাদেশ” ধারণাটি উগ্র গোষ্ঠীগুলির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে অনলাইন ও ক্যাম্পাসে এই বর্ণনা আবার ছড়াচ্ছে। সরকার যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এটি সমর্থন করে না, কিন্তু এর বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিক্রিয়া না জানানো ভারতের দৃষ্টিতে উদ্বেগজনক।
তুরস্কের প্রবেশ: আরেক স্তর
বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা খাতে তুরস্কের বিনিয়োগ—ড্রোন প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা শিল্পাঞ্চল, প্রশিক্ষণ ইত্যাদি—একটি নতুন ভৌগোলিক স্তর যোগ করেছে। তুরস্কের পাকিস্তানপন্থী নীতি ও ইসলামিক রাজনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য ভারতের জন্য নতুন উদ্বেগের কারণ।
ভারতের পাল্টা কৌশল: বিকল্প করিডর ও প্রতিরোধ
ভারত ইতোমধ্যেই বিকল্প যোগাযোগপথ তৈরিতে মনোযোগ দিয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো কালাদান মাল্টি-মডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট, যা কলকাতা থেকে মিয়ানমারের সিত্তে বন্দর হয়ে মিজোরাম পর্যন্ত সংযোগ তৈরি করছে—বাংলাদেশ এড়িয়ে।
এছাড়া সিলচার-শিলং জাতীয় সড়ক ও অন্যান্য পূর্বাঞ্চলীয় অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে ভারত একাধিক বিকল্প পথ তৈরি করছে, যাতে সিলিগুড়ি করিডর একমাত্র নির্ভরতার জায়গা না থাকে।
কূটনীতি ও ভারসাম্য
ভারতের জন্য এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ—ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট না করে নিরাপত্তা স্বার্থ রক্ষা করা। অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা বা চাপ সৃষ্টি করলে বাংলাদেশ আরও বেশি চীনের দিকে ঝুঁকবে। তাই ভারতকে “আকর্ষণীয় বিকল্প” দিতে হবে—অর্থনৈতিক সহায়তা, বাজার প্রবেশাধিকার, যৌথ উৎপাদন ও জনগণের পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যমে।
সম্ভাব্য পরিস্থিতি বিশ্লেষণ
- স্বাভাবিক টানাপোড়েন (Base Case): সীমান্তে ছোটখাটো সংঘাত, বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ অব্যাহত, ভারত প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি জোরদার রাখছে।
- সীমিত সংঘাত: সীমান্তে গোলাগুলি বা কোনো জঙ্গি হামলায় বাংলাদেশের নাম জড়িয়ে পড়লে স্থানীয় উত্তেজনা বাড়বে।
- বহুমুখী চাপ: চীন-ভারত সীমান্তে উত্তেজনা, পাকিস্তানের পশ্চিম সীমান্তে সংঘাত এবং পূর্বে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠতা—এই তিনের সমন্বয়ে ভারতকে “ত্রি-মুখী” প্রতিরক্ষা চাপ সামলাতে হতে পারে।
- কৌশলগত ধাক্কা: যদি বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে চীনা সেনা ঘাঁটির অনুমতি দেয় বা বে অফ বেঙ্গলে চীনা নৌবাহিনীর উপস্থিতি স্থায়ী হয়, তবে দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা চিত্র আমূল বদলে যাবে।
ভারতের অগ্রাধিকার কী হওয়া উচিত
- সিলিগুড়ির নিরাপত্তা জোরদার ও বিকল্প সংযোগ: বহুমাত্রিক প্রতিরক্ষা ও বিকল্প রুট উন্নয়ন।
- স্মার্ট সীমান্ত প্রযুক্তি ও স্থানীয় গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক: ড্রোন নজরদারি, নদী টহল ও সীমান্তবাসীর সম্পৃক্ততা।
- অর্থনৈতিক প্রলোভন: বাংলাদেশকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত রাখার জন্য বিনিয়োগ, শিল্প সহযোগিতা ও বাজার সুযোগ।
- গণবর্ণনা ও কূটনৈতিক সংলাপ: “গ্রেটার বাংলাদেশ” প্রচারণার পাল্টা যুক্তি হিসেবে সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক জোরদার করা।
- সংখ্যালঘু সুরক্ষা ও মানবিক প্রস্তুতি: সীমান্তে মানবিক সহায়তা পরিকল্পনা ও রাষ্ট্রীয় সমন্বয়।
- লালমনিরহাট নজরদারি: উপগ্রহ, গোয়েন্দা ও কূটনৈতিক পর্যবেক্ষণ বাড়ানো।
- ঢাকায় বহুমাত্রিক যোগাযোগ: শুধুমাত্র রাজনীতিক নয়, সামরিক, আমলাতান্ত্রিক ও ব্যবসায়ী শ্রেণির সঙ্গেও সম্পৃক্ততা।
উপসংহার
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের জন্য এক নতুন কৌশলগত জ্যামিতি তৈরি করেছে—যেখানে ঢাকা ক্রমশ বেইজিং ও ইসলামাবাদের ঘনিষ্ঠ orbit-এ প্রবেশ করছে।
এই নতুন বাস্তবতায় ভারতের উত্তর-পূর্বের ঝুঁকি একক কোনো ঘটনায় নয়, বরং ধীরে ধীরে জমে ওঠা বহুমাত্রিক পরিবর্তনে। লালমনিরহাটে নজরদারি, নতুন যুদ্ধবিমান ক্রয়, সীমান্ত অনুপ্রবেশ এবং রাজনৈতিক-আদর্শিক প্রচারণা—সব মিলিয়ে ভারতের পূর্ব সীমান্তে অস্থিরতার ছায়া ঘন হচ্ছে।
তবুও ভারতের কৌশল আতঙ্ক নয়, বরং চাতুর্য ও স্থিতিশীলতা হওয়া উচিত—বিকল্প যোগাযোগ পথ, শক্ত প্রতিরক্ষা, সক্রিয় কূটনীতি এবং অর্থনৈতিক আকর্ষণ—এই চার স্তম্ভই উত্তর-পূর্বের স্থিতিশীল ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা দিতে পারে।



