🇮🇳🤝🇬🇷 ভারত-গ্রীস ক্ষেপণাস্ত্র সহযোগিতা: তুরস্কের নিরাপত্তা হিসাব উল্টে দেওয়া এক নীরব পরিবর্তন 🚀

 

একক কোনো বড়সড় চুক্তি ঘোষণা না হলেও, ভারত ও গ্রীসের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, (বিশেষত ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি নিয়ে) দ্রুত গভীর হচ্ছে — যা পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের সামরিক ভারসাম্যে বড়সড় পরিবর্তন আনতে পারে এবং ইতিমধ্যেই তুরস্ককে চিন্তায় ফেলেছে।

🔹 কৌশলগত অংশীদারিত্ব জোরদার হচ্ছে
ভারত ও গ্রীস পারস্পরিক স্বার্থে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার দিক থেকে অংশীদারিত্ব শক্তিশালী করছে। গ্রীস চায় পূর্ব ভূমধ্যসাগরে নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, আর ভারত চায় নিজের প্রতিরক্ষা রপ্তানি এবং নিকট প্রতিবেশীর বাইরেও মৈত্রী জোরদার করতে।

🔹 প্রস্তাবিত ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র: ✅ ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল
অত্যাধুনিক গতির ও নিখুঁত লক্ষ্যভেদের কারণে ব্রহ্মোসকে ‘গেম-চেঞ্জার’ বলা হচ্ছে। গ্রীসের সাথে এ নিয়ে আলোচনা চলছে, যদিও এখনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়নি।
✅ আকাশ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম
ভারতের নিজস্ব আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিভিন্ন ক্ষেত্রে কার্যকারিতা প্রমাণ করেছে। গ্রীস ভারতের এই সামর্থ্যের প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছে।
✅ দীর্ঘ-পাল্লার ভূমি হামলা ক্রুজ মিসাইল (LR-LACM)
গ্রীক ও তুর্কি সংবাদমাধ্যমে রিপোর্ট এসেছে যে ভারত "অঘোষিতভাবে" গ্রীসকে এই ১০০০ কিমি পাল্লার মিসাইল অফার করেছে — যা তুরস্কের এয়ারবেস, রাডার, ও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে নিশানা করতে সক্ষম এবং আঞ্চলিক ক্ষমতার ভারসাম্যে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।

🔹 প্রশস্ত প্রতিরক্ষা সহযোগিতা
ক্ষেপণাস্ত্রের বাইরেও, যৌথ উৎপাদন ও বিকাশ, মিলিটারি মহড়া (যেমন ইনিওখোস, তরঙ্গ শক্তি), সাইবার নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ দমন এবং সমুদ্র নিরাপত্তা নিয়ে যৌথ কাজ হচ্ছে। ভারত গ্রীক প্রতিরক্ষা শিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহও দেখাচ্ছে।

🔹 সাইপ্রাস-আর্মেনিয়ার সাথে কৌশলগত অক্ষ
ভারত সাইপ্রাস ও আর্মেনিয়ার সাথেও প্রতিরক্ষা সম্পর্ক গভীর করছে — যা তুরস্কের আঞ্চলিক প্রভাবের মোকাবেলায় এক কৌশলগত অক্ষ গড়ে তুলছে। আর্মেনিয়া ইতিমধ্যেই ভারতের স্বাথি রাডার, পিনাকা রকেট ও সম্ভাব্যভাবে আকাশ মিসাইল সংগ্রহ করেছে।

🚨 তুরস্কের উদ্বেগ কেন? 🔻 সামরিক ভারসাম্যে পরিবর্তন: গ্রীস যদি ব্রহ্মোস বা LR-LACM পায়, তাতে এজিয়ান সাগর ও পূর্ব ভূমধ্যসাগরে গ্রীসের হামলা ও প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বাড়বে, যা তুরস্কের জন্য হুমকির মতো মনে হচ্ছে।
🔻 তুর্কি আগ্রাসন রুখতে প্রস্তুতি: গ্রীস ও তার মিত্ররা ভারতের প্রতিরক্ষা সহায়তাকে তুরস্কের সামুদ্রিক দাবির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানোর মূল চাবিকাঠি ভাবছে।
🔻 “প্রতিশোধ” ভাবমূর্তি: তুর্কি সংবাদমাধ্যমে ভারতের গ্রীসের সাথে ঘনিষ্ঠতাকে পাকিস্তান ইস্যুতে তুরস্কের পাকিস্তানপ্রীতির জবাব হিসেবে দেখানো হচ্ছে।
🔻 গোপন অপারেশনাল তথ্য: গ্রীস ভারতের সাথে কাজ করে তুরস্ক-সংশ্লিষ্ট ড্রোনের বিরুদ্ধে অপারেশনের কৌশল জেনে নিচ্ছে — এই আশঙ্কায় তুর্কি মিডিয়ায় জল্পনা তৈরি হয়েছে।
🔻 F-35 আলোচনা পুনরায় শুরু: ভারতের সক্রিয়তা দেখে তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্রের সাথে F-35 যুদ্ধবিমান নিয়ে পুনরায় আলোচনা শুরু করেছে, যাতে এই পরিবর্তিত পরিস্থিতির মোকাবেলা করা যায়।
🔻 ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব: ভারত-গ্রীস-সাইপ্রাস-আর্মেনিয়া মিলে তুরস্কের ঐতিহ্যগত প্রভাবক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে, যা আজারবাইজান-পাকিস্তানের সাথে তুরস্কের মিত্রতাকেও প্রশ্নের মুখে ফেলছে।

📌 সারমর্মে: যদিও একক “মিসাইল চুক্তি” এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে সই হয়নি, ভারত-গ্রীসের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, বিশেষত মিসাইল নিয়ে সম্ভাব্য চুক্তি, তুরস্কের দৃষ্টিতে আঞ্চলিক শক্তির ভারসাম্যে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে — যা তুরস্কের কৌশলগত স্বার্থকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছে।

---

🌐 #IndiaGreece #DefenseDeal #BrahMos #Geopolitics #Turkey #EasternMediterranean #ভারতগ্রীস #প্রতিরক্ষা