চোল রাজবংশ সম্পর্কে ১০টি চমৎকার তথ্য

Chola Empire


১. সময়কাল: চোল রাজবংশ খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতক থেকে ১৩ শতক পর্যন্ত দক্ষিণ ভারতের একটি শক্তিশালী রাজবংশ ছিল। তাদের শাসনামলকে ভারতের ইতিহাসের স্বর্ণযুগ বলা হয়।

২. রাজধানী: চোল রাজাদের প্রধান রাজধানী ছিল তঞ্জাবুর। এছাড়া, উরাইয়ুর এবং পুম্বারও তাদের গুরুত্বপূর্ণ শহর ছিল।

৩. সাম্রাজ্য বিস্তার: রাজারাজ চোল ও তার পুত্র রাজেন্দ্র চোলের শাসনামলে চোল সাম্রাজ্য দক্ষিণ ভারতের অধিকাংশ অংশ, শ্রীলঙ্কা, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং মালয় উপদ্বীপ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।

৪. মন্দির নির্মাণ: চোল শাসকরা ধর্মপ্রাণ ছিলেন এবং তাদের শাসনামলে বহু মন্দির নির্মাণ করা হয়। তঞ্জাবুরের বৃহদীশ্বর মন্দির এবং কাঞ্চীপুরমের কামক্ষী মন্দির চোল স্থাপত্যের অন্যতম উজ্জ্বল নিদর্শন।

৫. ব্রোঞ্জ মূর্তি: চোল শিল্পীরা ব্রোঞ্জ মূর্তি নির্মাণে দক্ষতা অর্জন করেছিলেন। নটরাজ মূর্তি চোল শিল্পের অন্যতম বিখ্যাত উদাহরণ।

৬. জল ব্যবস্থা: চোল রাজারা উন্নত জল ব্যবস্থা নির্মাণ করেন, যার মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য হলো তঞ্জাবুরের বৃহদীশ্বর মন্দিরের চারপাশে নির্মিত গভীর কুণ্ড।

৭. বাণিজ্য ও নৌযাত্রা: চোল রাজারা বাণিজ্য ও নৌযাত্রায় বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেছিলেন। তামিলনাড়ুর উপকূলে তাদের বহু বন্দর ছিল এবং তারা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া পর্যন্ত বাণিজ্য করতেন।

৮. সাহিত্য ও শিল্পকলা: চোল শাসনামলে তামিল সাহিত্য ও শিল্পকলা বিকশিত হয়। তামিল সাহিত্যে এই সময়কালে সিলপ্পদিকারাম এবং মণিকলাই সহ একাধিক মহাকাব্য রচিত হয়।

৯. শাসন ব্যবস্থা: চোল রাজারা কার্যকরী শাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলেন। তাদের সাম্রাজ্যকে বিভিন্ন প্রদেশে ভাগ করা হয় এবং প্রতিটি প্রদেশের নিজস্ব গভর্নর ছিলেন।

১০. অবদান: চোল রাজবংশ দক্ষিণ ভারতের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে গভীর প্রভাব রেখেছে। তাদের শাসনামলে নির্মিত মন্দির, ব্রোঞ্জ মূর্তি, সাহিত্য ও শিল্পকলা আজও ভারতের গর্বের বিষয়।

আশা করি, এই তথ্যগুলো আপনাকে চোল রাজবংশ সম্পর্কে আরও জানতে সাহায্য করবে।

Chola Empire

Chola Empire


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

যদি আপনার কোনও বিষয়ে ডাউট থাকে বা কোনও বিষয় suggest করতে চান তাহলে মেল করুন!

নবীনতর পূর্বতন

banglafacts 4