১. সময়কাল: চোল রাজবংশ খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতক থেকে ১৩ শতক পর্যন্ত দক্ষিণ ভারতের একটি শক্তিশালী রাজবংশ ছিল। তাদের শাসনামলকে ভারতের ইতিহাসের স্বর্ণযুগ বলা হয়।
২. রাজধানী: চোল রাজাদের প্রধান রাজধানী ছিল তঞ্জাবুর। এছাড়া, উরাইয়ুর এবং পুম্বারও তাদের গুরুত্বপূর্ণ শহর ছিল।
৩. সাম্রাজ্য বিস্তার: রাজারাজ চোল ও তার পুত্র রাজেন্দ্র চোলের শাসনামলে চোল সাম্রাজ্য দক্ষিণ ভারতের অধিকাংশ অংশ, শ্রীলঙ্কা, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং মালয় উপদ্বীপ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
৪. মন্দির নির্মাণ: চোল শাসকরা ধর্মপ্রাণ ছিলেন এবং তাদের শাসনামলে বহু মন্দির নির্মাণ করা হয়। তঞ্জাবুরের বৃহদীশ্বর মন্দির এবং কাঞ্চীপুরমের কামক্ষী মন্দির চোল স্থাপত্যের অন্যতম উজ্জ্বল নিদর্শন।
৫. ব্রোঞ্জ মূর্তি: চোল শিল্পীরা ব্রোঞ্জ মূর্তি নির্মাণে দক্ষতা অর্জন করেছিলেন। নটরাজ মূর্তি চোল শিল্পের অন্যতম বিখ্যাত উদাহরণ।
৬. জল ব্যবস্থা: চোল রাজারা উন্নত জল ব্যবস্থা নির্মাণ করেন, যার মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য হলো তঞ্জাবুরের বৃহদীশ্বর মন্দিরের চারপাশে নির্মিত গভীর কুণ্ড।
৭. বাণিজ্য ও নৌযাত্রা: চোল রাজারা বাণিজ্য ও নৌযাত্রায় বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেছিলেন। তামিলনাড়ুর উপকূলে তাদের বহু বন্দর ছিল এবং তারা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া পর্যন্ত বাণিজ্য করতেন।
৮. সাহিত্য ও শিল্পকলা: চোল শাসনামলে তামিল সাহিত্য ও শিল্পকলা বিকশিত হয়। তামিল সাহিত্যে এই সময়কালে সিলপ্পদিকারাম এবং মণিকলাই সহ একাধিক মহাকাব্য রচিত হয়।
৯. শাসন ব্যবস্থা: চোল রাজারা কার্যকরী শাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলেন। তাদের সাম্রাজ্যকে বিভিন্ন প্রদেশে ভাগ করা হয় এবং প্রতিটি প্রদেশের নিজস্ব গভর্নর ছিলেন।
১০. অবদান: চোল রাজবংশ দক্ষিণ ভারতের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে গভীর প্রভাব রেখেছে। তাদের শাসনামলে নির্মিত মন্দির, ব্রোঞ্জ মূর্তি, সাহিত্য ও শিল্পকলা আজও ভারতের গর্বের বিষয়।
আশা করি, এই তথ্যগুলো আপনাকে চোল রাজবংশ সম্পর্কে আরও জানতে সাহায্য করবে।