-
দক্ষিণ ভারতের প্রাচীনতম সাম্রাজ্যগুলির মধ্যে একটি: খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতাব্দী থেকে ১৩শ শতাব্দী পর্যন্ত দক্ষিণ ভারতের বিশাল অংশ শাসন করেছে পাণ্ড্য সাম্রাজ্য। মদুরাই ও তিরুবনমালাইকে কেন্দ্র করে এটি দক্ষিণ ভারতের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
-
সমুদ্র বাণিজ্যে শক্তিশালী: পাণ্ড্যরা দক্ষিণ ভারতের সাথে রোম সাম্রাজ্য এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মতো দূরবর্তী অঞ্চলের সাথে বাণিজ্যে প্রবল ছিল। মুক্তো, মসলা, পোশাক ইত্যাদি পণ্যের বাণিজ্যে বিখ্যাত ছিল তারা।
-
শিল্প ও সাহিত্যে সমৃদ্ধ: পাণ্ড্য শাসনামলে শিল্প ও সাহিত্যে অনেক উন্নতি হয়। মীনাক্ষী অম্মন মন্দিরের মতো বিশাল মন্দির নির্মাণ, এবং সিলাপ্পধিকারম ও মণিমেগலை মতো মহাকাব্য লেখা হয় এই সময়ে।
-
বৌদ্ধ ধর্মের পৃষ্ঠপোষক: পাণ্ড্য রাজারা বৌদ্ধ ধর্মের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তাম্রলিপি এবং মন্দির নির্মাণের মাধ্যমে বৌদ্ধ ধর্মের প্রসারে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
-
পাল্লব রাজাদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা: পাণ্ড্যদের পাল্লব রাজাদের সাথে দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল। দক্ষিণ ভারতের শাসন ক্ষমতার জন্য দুই সাম্রাজ্যের মধ্যে বহু যুদ্ধ হয়।
-
চোল সাম্রাজ্যের উত্থানের সাথে পতন: ১০ম শতাব্দীতে চোল সাম্রাজ্যের উত্থানের সাথে পাণ্ড্যদের ক্ষমতা ক্রমশ হ্রাস পায়। অবশেষে ১৩শ শতাব্দীতে তাদের সাম্রাজ্য পতন হয়।
-
নৌবাহিনীতে দক্ষতা: পাণ্ড্যরা একটি শক্তিশালী নৌবাহিনী তৈরি করেছিল। এটি তাদের সমুদ্র বাণিজ্যে সাহায্য করার পাশাপাশি, শত্রুদের আক্রমণ প্রতিহত করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
-
শাসন ব্যবস্থা ও আইন: পাণ্ড্যরা একটি কার্যকরী শাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল। তারা কেন্দ্রীয় সরকার, প্রাদেশিক গভর্নর এবং গ্রাম স্তরে প্রশাসনিক ব্যবস্থা চালু করেছিল। এছাড়াও, তারা বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করেছিল যা তাদের সাম্রাজ্যের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সাহায্য করেছিল।
-
সমাজে নারীর অবস্থান: পাণ্ড্য সমাজে নারীরা অন্যান্য প্রাচীন ভারতীয় সমাজের চেয়ে বেশি স্বাধীনতা এবং অধিকার ভোগ করতেন। তারা সম্পত্তি মালিকানা এবং ব্যবসা করতে পারতেন।
ধাতুশিল্পের উৎকর্ষ: পাণ্ড্য শিল্পীরা ধাতুশিল্পে দক্ষতা অর্জন করে। তামিলনাডুর মন্দিরগুলিতে পাওয়া ব্রোঞ্জ মূর্তিগুলি তাদের দক্ষতার নিদর্শন।