ইতিহাস বদলে যাবে! বাংলাদেশের গ্রামে পাওয়া গেলো এমন প্রমাণ, যা পাল্টে দিবে আমাদের জানা সব ইতিহাস!

 সিন্ধু সভ্যতার ১০টি আকর্ষণীয় তথ্য:


১. প্রাচীনত্ব: সিন্ধু সভ্যতা খ্রিস্টপূর্ব ৩৩০০ থেকে ১৩০০ অব্দ পর্যন্ত প্রায় ২,০০০ বছর ধরে বিকশিত হয়। এটি মেসোপটামিয়া এবং মিশরের সভ্যতার সমসাময়িক।

২. নগরীর বিকাশ: সিন্ধু সভ্যতা উন্নত নগর পরিকল্পনা নিয়ে আবির্ভূত হয়। প্রশস্ত রাস্তা, জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা, পোড়ামাটির ইট ব্যবহার করে নির্মিত বাড়িঘর তাদের কারিগরি দক্ষতার প্রমাণ দেয়।


৩. মোহেঞ্জো-দারো ও হড়প্পা: সিন্ধু সভ্যতার দুটি প্রধান শহর হলো মোহেঞ্জো-দারো এবং হড়প্পা। এগুলো তৎকালীন সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত নগরগুলোর অন্যতম ছিল।

৪. লিপি ও ভাষা: সিন্ধু সভ্যতার নিজস্ব লিপি ছিল, তবে এটি এখনও পুরোপুরি ডিকোড করা হয়নি। লিপিতে প্রায় ৪০০টি চিহ্ন রয়েছে এবং এটি ডান থেকে বামে লেখা হতো।

৫. ব্যবসা ও বাণিজ্য: সিন্ধু সভ্যতা মেসোপটামিয়া ও অন্যান্য সভ্যতার সাথে ব্যবসা ও বাণিজ্য করতো। তারা সিন্ধু উপত্যকা থেকে লাপিস লাজুলি পাথর, মূল্যবান মৃৎপাত্র ইত্যাদি রপ্তানি করতো।

৬. শিল্পকলা: সিন্ধু সভ্যতার লোকেরা মৃৎপাত্র, মূর্তি এবং সিলমোহর নির্মাণে দক্ষ ছিল। তাদের শিল্পকলায় জ্যামিতিক নকশা, প্রাণীজগতের চিত্র এবং ধর্মীয় প্রতীক বেশি দেখা যায়।


৭. জল ব্যবস্থা: সিন্ধু সভ্যতার শহরগুলোতে উন্নত জল সরবরাহ ব্যবস্থা ছিল। জলাধার, কূপ এবং পাইপ লাইনের মাধ্যমে তারা পরিষ্কার পানি সংগ্রহ ও বিতরণ করতো।

৮. ধর্মীয় বিশ্বাস: সিন্ধু সভ্যতার মানুষেরা প্রকৃতি পূজা করতো, বিশেষ করে মাতৃদেবী এবং পশুপাখির পূজা প্রচলিত ছিল।

৯. পতন: সিন্ধু সভ্যতার পতনের কারণ এখনও পুরোপুরি জানা যায়নি। তবে, বন্যা, খরা, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব বা অন্য কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ এর কারণ হতে পারে।

১০. অবদান: সিন্ধু সভ্যতা শিল্প, স্থাপত্য, নগর পরিকল্পনা, জল ব্যবস্থা এবং বাণিজ্য ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। এটি দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ অংশ নেয় এবং সেখানকার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে আজও তার প্রভাব দেখা যায়।

আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার কাছে উপকারী হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

যদি আপনার কোনও বিষয়ে ডাউট থাকে বা কোনও বিষয় suggest করতে চান তাহলে মেল করুন!

নবীনতর পূর্বতন

banglafacts 4