সিন্ধু সভ্যতার ১০টি আকর্ষণীয় তথ্য:
১. প্রাচীনত্ব: সিন্ধু সভ্যতা খ্রিস্টপূর্ব ৩৩০০ থেকে ১৩০০ অব্দ পর্যন্ত প্রায় ২,০০০ বছর ধরে বিকশিত হয়। এটি মেসোপটামিয়া এবং মিশরের সভ্যতার সমসাময়িক।
২. নগরীর বিকাশ: সিন্ধু সভ্যতা উন্নত নগর পরিকল্পনা নিয়ে আবির্ভূত হয়। প্রশস্ত রাস্তা, জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা, পোড়ামাটির ইট ব্যবহার করে নির্মিত বাড়িঘর তাদের কারিগরি দক্ষতার প্রমাণ দেয়।
৩. মোহেঞ্জো-দারো ও হড়প্পা: সিন্ধু সভ্যতার দুটি প্রধান শহর হলো মোহেঞ্জো-দারো এবং হড়প্পা। এগুলো তৎকালীন সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত নগরগুলোর অন্যতম ছিল।
৪. লিপি ও ভাষা: সিন্ধু সভ্যতার নিজস্ব লিপি ছিল, তবে এটি এখনও পুরোপুরি ডিকোড করা হয়নি। লিপিতে প্রায় ৪০০টি চিহ্ন রয়েছে এবং এটি ডান থেকে বামে লেখা হতো।
৫. ব্যবসা ও বাণিজ্য: সিন্ধু সভ্যতা মেসোপটামিয়া ও অন্যান্য সভ্যতার সাথে ব্যবসা ও বাণিজ্য করতো। তারা সিন্ধু উপত্যকা থেকে লাপিস লাজুলি পাথর, মূল্যবান মৃৎপাত্র ইত্যাদি রপ্তানি করতো।
৬. শিল্পকলা: সিন্ধু সভ্যতার লোকেরা মৃৎপাত্র, মূর্তি এবং সিলমোহর নির্মাণে দক্ষ ছিল। তাদের শিল্পকলায় জ্যামিতিক নকশা, প্রাণীজগতের চিত্র এবং ধর্মীয় প্রতীক বেশি দেখা যায়।
৭. জল ব্যবস্থা: সিন্ধু সভ্যতার শহরগুলোতে উন্নত জল সরবরাহ ব্যবস্থা ছিল। জলাধার, কূপ এবং পাইপ লাইনের মাধ্যমে তারা পরিষ্কার পানি সংগ্রহ ও বিতরণ করতো।
৮. ধর্মীয় বিশ্বাস: সিন্ধু সভ্যতার মানুষেরা প্রকৃতি পূজা করতো, বিশেষ করে মাতৃদেবী এবং পশুপাখির পূজা প্রচলিত ছিল।
৯. পতন: সিন্ধু সভ্যতার পতনের কারণ এখনও পুরোপুরি জানা যায়নি। তবে, বন্যা, খরা, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব বা অন্য কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ এর কারণ হতে পারে।
১০. অবদান: সিন্ধু সভ্যতা শিল্প, স্থাপত্য, নগর পরিকল্পনা, জল ব্যবস্থা এবং বাণিজ্য ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। এটি দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ অংশ নেয় এবং সেখানকার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে আজও তার প্রভাব দেখা যায়।
আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার কাছে উপকারী হবে।