আদর্শ রাষ্ট্র হিসাবে ভারতের ব্র্যান্ড মূল্য গত কয়েক বছরে বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে উন্নত হয়েছে যা পাকিস্তানের তুলনায় ভারতের কণ্ঠস্বরকে হাজার গুণ বেশি বিশ্বাসযোগ্য করে তুলেছে।
এর বিপরীতে পাকিস্তানের ভাবমূর্তি দিনে দিনে ক্ষুণ্ন হয়েছে।এর জন্য ভারতীয় কূটনীতিকে বিশেষ ধন্যবাদ দিতে হয়। বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ এখন পাকিস্তানকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করে, এ কারণেই ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের যাবতীয় মামলা দুর্বল হচ্ছে। অবশ্য এইসব বেশিরভাগ মামলার কোনো মাথা কান থাকে না।
ভারতের সাম্প্রতিক দৃষ্টিভঙ্গি পাকিস্তানের জন্য বেদনার: সাম্প্রতিক কয়েক বছরে গোটা বিশ্ব ভারতের দিকে লক্ষ্য করতে শুরু করেছে। এর দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং নতুন ক্যারিশম্যাটিক প্রধানমন্ত্রীর কারণে। সেখানে সদ্য "নির্বাচিত" পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী নিজের সময়সীমাও পূর্ণ করতে পারে নি। সেই প্রধানমন্ত্রী UN এ দাড়িয়ে আবার বিশ্বকে নিউক্লিয়ার যুদ্ধের ভয় দেখায়। অপরদিকে মোদী আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীগুলোতে ভারতকে দারুণভাবে বাজারজাত করেছেন এবং তা বিশ্ব মানচিত্রে ভারতকে পাকিস্তানের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছে।
যেহেতু মোদি একজন মহান বিশ্বনেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন, যখন তিনি আন্তর্জাতিক ফোরামে পাকিস্তানকে খোঁচা দেন, তখন সেই খোঁচার গুরুত্ব আরো বেশি হয়। উদাহরণ স্বরূপ বেইজিং-এ G20 শীর্ষ সম্মেলনে যেখানে তিনি পাকিস্তান থেকে উদ্ভূত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইউআরআই হামলার নিন্দা জানাতে ইসলামাবাদে সার্ক সম্মেলন বয়কট করে সার্কভুক্ত দেশগুলো।
আফগানিস্তান এবং ইরানের সাথে ভারতের ক্রমবর্ধমান ভালো সম্পর্ক: এটা সকলেরই জানা যে পাকিস্তানি আইএসআই আফগান সরকারের বিরুদ্ধে তালেবানকে তার অর্থ ব্যবস্থাপনায় সমর্থন করেছিল এবং অস্ত্র সরবরাহ করেছিল। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে আফগানিস্তানের সাথে ভারতের সম্পর্ক বৃদ্ধি পেয়েছে(man to man)। আফগানিস্তানের অবকাঠামো এবং শিল্প উন্নয়নে ভারতের বিনিয়োগ দুই দেশকে কাছাকাছি নিয়ে এসেছে এবং এটিকে পাকিস্তান নিজের জন্য বিপদ হিসেবে দেখছে।
গুরুত্বপূর্ণভাবে ইরানে চাবাহার বন্দর তৈরির জন্য ভারতের প্রস্তাব পাকিস্তানের জন্য একটি বড় কৌশলগত আঘাত। কার্যকরী চাবাহার বন্দর পাকিস্তানকে বাইপাস করে ইরান থেকে আফগানিস্তানে পণ্য পরিবহন করতে সক্ষম করবে। এটি পাকিস্তানকে জড়িত না করেই ভারত,আফগানিস্তান এবং ইরানের জন্য একটি 3 ওয়ে ট্রেড করিডর খুলবে।
জম্মু ও কাশ্মীর: পাকিস্তানকে ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলতেই হবে আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে এবং কথা বলার একমাত্র বিষয় হলো কাশ্মীর ইস্যু। এই কাশ্মীরে ভারতের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক কিছু বিক্ষোভের সময় কাশ্মীরি যুবকরা একসঙ্গে পাকিস্তানি এবং আইএসআইএসের পতাকা উড়িয়েছে। এটি সমগ্র বিশ্ব দেখেছে। তারা জানে কোন দেশ কাশ্মীরের উন্নয়নের জন্য কাজ করে চলেছে অনবরত এবং কোন দেশ এই ভূস্বর্গ কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ ছড়ানোর মাধ্যমে পরিস্থিতি খারাপ করতে চাইছে।
