ব্লুটুথের আবিষ্কার এই যুগে বৈপ্লবিক প্রমাণিত হয়েছে। ব্লুটুথ মোবাইল ফোনের কার্যক্ষমতা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। ব্লুটুথের কারণে আমরা যেকোনো ফাইল এক মোবাইল থেকে অন্য মোবাইলে পাঠাতে পারি। ব্লুটুথের মাধ্যমে আমরা কোনো ডেটা ক্যাবল ছাড়াই ডেটা স্থানান্তর করতে পারি। ব্লুটুথ সম্পর্কে এই সমস্ত সাধারণ জিনিস যা সম্ভবত আমরা জানি, কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে এই নামটি কোথা থেকে এসেছে??আসুন সেটাই জানার চেষ্টা করি। শুনলে আপনি হতবাক হবেন যে ব্লুটুথ ছিল মধ্যযুগের এক রাজার নাম, কিন্তু এখন আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন যে এই প্রযুক্তির নামের সাথে রাজার নামের কি সম্পর্ক আছে!!
হ্যারাল্ড গর্নসন ছিলেন ডেনমার্ক এবং নরওয়ের রাজা। তিনি স্ক্যান্ডিনেভিয়া নামক স্থানে প্রথম সেতু নির্মাণের কৃতিত্ব পান। এই সেতুটি 5 মিটার চওড়া এবং 760 মিটার দীর্ঘ ছিল, সেই সময়ে এই সেতুটি যান চলাচলের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হত। মধ্যযুগে যেমন প্রত্যেক রাজার একটি উপাধি ছিল, তেমনি তার নামও ছিল Blátǫnn যা একটি ডেনিশ শব্দ যার অর্থ ব্লুটুথ। কিন্তু এই নামের অর্থ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।
হেরাল্ড ব্লুটুথ যেমন ক্রিস্টিয়ানস এবং হিথেন্সের মধ্যে সেতু বানিয়ে দূরত্ব কম করেছিলেন, ঠিক একইভাবে ব্লুটুথ এই যুগে দুটো ডিভাইস এর মধ্যে অদৃশ্য সেতু বানিয়ে দূরত্ব কমায়। তাই এই নাম দেওয়া অর্থবহ কারণ ব্লুটুথের প্রতীকটি ওই রাজার নামের প্রথম অক্ষর দুটির মতো দেখায়(H এবং B এর যোগে তৈরি) এবং এই সব চিন্তাভাবনা করেই এই নাম এবং এই প্রতীকটি দেওয়া হয়েছিল।