US 2025 National Security Strategy: ভারতের উত্থান ও পাকিস্তানের কূটনৈতিক ধাক্কা – সম্পূর্ণ বিশ্লেষণ
২০২৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন National Security Strategy (NSS) প্রকাশের পর আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক অঙ্গনে বড় ধরনের আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের প্রকাশিত এই নতুন কৌশলগত নথিতে ভারতকে একটি উচ্চতর কৌশলগত অবস্থানে তুলে ধরা হয়েছে, বিপরীতে পাকিস্তানকে প্রায় সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে। মার্কিন নীতির এই স্পষ্ট পরিবর্তন শুধু Indo-Pacific অঞ্চলে নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ার শক্তির ভারসাম্যে নতুন এক বাস্তবতা তৈরি করছে।
 |
| India’s upgraded role in the 2025 US National Security Strategy. |
এই নিবন্ধে আমরা সহজ ও স্পষ্ট ভাষায় বিশদ বিশ্লেষণ করব—কীভাবে ২০২৫ NSS-এ ভারতকে কৌশলগতভাবে উন্নীত করা হয়েছে, পাকিস্তানের কূটনৈতিক অবস্থান কীভাবে দুর্বল হয়েছে, এবং এর সামগ্রিক ভূ-রাজনৈতিক (geopolitical) ফলাফল কী হতে পারে।
US 2025 National Security Strategy: ভারতের উত্থান ও পাকিস্তানের কূটনৈতিক ধাক্কা
2025 সালের US National Security Strategy (NSS) নথিতে ভারতকে Indo-Pacific অঞ্চলের একটি প্রধান শক্তি হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে commercial ties, defense partnership এবং Quad cooperation আরও জোরদার করার কথা বলা হয়েছে। বিপরীতে Pakistan প্রায় সম্পূর্ণ উপেক্ষিত, যা একটি বড় diplomatic setback হিসেবে দেখা হচ্ছে। NSS দেখায় যে মার্কিন নীতি এখন South Asia নয়, বরং China-centric Indo-Pacific strategy-র দিকে ঝুঁকছে।
ভারতের উন্নীত অবস্থান: ২০২৫ NSS-এ চারটি শক্তিশালী উপস্থিতি
নতুন ২৯-পৃষ্ঠার এই কৌশলগত নথিতে India শব্দটি উল্লেখ করা হয়েছে চারবার, এবং প্রতিবারই ভারতের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাওয়ার বার্তা ধরা পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিতে ভারত এখন Indo-Pacific অঞ্চলে মার্কিন স্বার্থ রক্ষার একটি কেন্দ্রীয় স্তম্ভ।
যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্টভাবে বলেছে যে, দেশটি ভারতের সঙ্গে commercial ties, defense partnership, এবং technology cooperation আরও গভীর করবে, যাতে India Quad কাঠামোর মাধ্যমে Indo-Pacific নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে পারে।
নথিটি উল্লেখ করে:
“United States must continue to improve commercial (and other) relations with India to encourage New Delhi to contribute to Indo-Pacific security, including through continued quadrilateral cooperation with Australia, Japan, and the United States.”
এছাড়াও ভারতকে যুক্তরাষ্ট্রের China-centric প্রতিযোগিতায় একটি বড় অংশীদার হিসেবে দেখা হয়েছে, বিশেষ করে:
-
Africa-তে infrastructure building,
অর্থাৎ, আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্র এখন ভারতের বিশ্বশক্তি হয়ে ওঠার সম্ভাবনাকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
পাকিস্তান: প্রায় সম্পূর্ণভাবে অনুপস্থিত—এক নতুন কূটনৈতিক বাস্তবতা
২০২৫ সালের NSS-এর সবচেয়ে আলোচিত দিক হলো Pakistan-এর কার্যত অনুপস্থিতি।
পুরো নথিতে পাকিস্তানকে উল্লেখ করা হয়েছে শুধু একটি প্রসঙ্গে—ট্রাম্পের নিজের দাবি করা ২০২৫ সালের India-Pakistan ceasefire-এ তাঁর ভূমিকা সম্পর্কে। India বহুবার এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
এর বাইরে:
-
পাকিস্তানকে কোনো কৌশলগত actor হিসেবে উল্লেখ নেই,
-
সন্ত্রাসবাদ (terrorism)-সংক্রান্ত উদ্বেগ নেই,
-
দক্ষিণ এশিয়ার nuclear stability-সম্পর্কিত আগের সতর্কতা নেই।
তুলনামূলকভাবে, 2017 NSS পাকিস্তানকে কঠোর ভাষায় সতর্ক করেছিল:
“No partnership can survive a country’s support for militants and terrorists.”
২০২৫ NSS-এ এসব বার্তা সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। এর মানে হচ্ছে, মার্কিন দৃষ্টিতে পাকিস্তান এখন আর দক্ষিণ এশিয়ার কোনো বড় strategic factor নয়।
কেন পাকিস্তানকে উপেক্ষা করা হলো? — মূল ভূ-রাজনৈতিক কারণসমূহ
বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তানের অনুপস্থিতি কেবল শব্দচয়নের ভুল নয়, বরং একটি ইচ্ছাকৃত কূটনৈতিক বার্তা। কেন?
১. US Strategic Shift: South Asia আর অগ্রাধিকার নয়
২০১৭ NSS-এ South Asia ছিল একটি স্বতন্ত্র কৌশলগত অঞ্চল। কিন্তু ২০২৫ NSS-এ সেই কাঠামো বদলে গেছে। India-কে পুরোপুরি Indo-Pacific actor হিসেবে দেখা হচ্ছে, Pakistan-কে নয়।
অর্থাৎ, যুক্তরাষ্ট্র এখন US–China competition-এর দৃষ্টিতে সবকিছু মূল্যায়ন করছে, South Asia-কে আলাদা করে নয়।
২. Pakistan-এর Strategic Value কমে গেছে
যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিতে Pakistan-এর geopolitical leverage কয়েকটি কারণে দুর্বল হয়েছে:
-
Afghanistan mission শেষ হওয়ার পর Pakistan আর essential partner নয়,
-
counterterrorism collaboration ওয়াশিংটনের অগ্রাধিকার নয়,
-
Beijing-এর ঘনিষ্ঠ মিত্র হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র Pakistan-কে চাপ দিতে আগ্রহী নয়।
ফলাফল: মার্কিন কৌশলের কেন্দ্রবিন্দুতে পাকিস্তান আর নেই।
৩. India-এর Uplift: China-কে balance করার ক্ষেত্রে অপরিহার্য
ভারত এখন Indo-Pacific-এ একটি major power, যাকে ছাড়া China-কে কৌশলগতভাবে প্রতিহত করা সম্ভব নয়। তাই India-কে গুরুত্ব দেওয়া এবং Pakistan-কে পেছনে ফেলে রাখা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাস্তব কৌশল।
India vs Pakistan in US 2025 National Security Strategy
India (Highlighted)
- ৪ বার উল্লেখ – central Indo-Pacific partner
- Quad cooperation জোরদার করার আহ্বান
- Critical minerals, tech standards, Africa infrastructure-এ অংশীদার
- China balance করার key partner
Pakistan (Ignored)
- মাত্র একবার উল্লেখ – তাও Trump-এর mediation claim
- 2017 NSS-এর terrorism warning অনুপস্থিত
- Strategic importance কমে গেছে
- South Asia আর US priority নয়
Trump-এর ‘Ceasefire Mediation’ দাবি: বড় কূটনৈতিক বিতর্ক
NSS-এর সবচেয়ে বিতর্কিত অংশ হলো—ট্রাম্পের দাবি যে তিনি personally May 2025-এ India ও Pakistan-এর মধ্যে ceasefire করিয়েছেন।
India স্পষ্টভাবে বলেছে যে এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
MEA-র বক্তব্য:
“At no stage was there any involvement of a third party.”
Prime Minister Narendra Modi–ও সংসদে পরিষ্কারভাবে এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেন।
এই অংশটি দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক ভাষায় একটি অস্বস্তিকর ও অপ্রয়োজনীয় যুক্তি তৈরি করেছে, যা NSS-এর credibility-কেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
Mixed Signals: ভারতের উত্থান সত্ত্বেও মার্কিন নীতির দ্বৈত আচরণ
যদিও NSS-এ India-কে গুরুত্বপূর্ণ strategic partner হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে, বাস্তবে কিছু সিদ্ধান্ত India-সংশ্লিষ্ট বিতর্ক তৈরি করেছে।
১. Pakistan-কে F-16 Upgrade Package (686 million USD)
NSS প্রকাশের কয়েক দিন পরই Trump administration Pakistan-এর জন্য F-16 upgrade অনুমোদন দেয়।
এই পদক্ষেপ India-র নজরে:
-
strategic contradiction,
-
balance-keeping attempt,
-
অথবা Pakistan-এর উপর কিছু leverage ধরে রাখার মার্কিন কৌশল।
২. India-কে ‘Convenience Partner’ বলে সমালোচনা
সমালোচকদের মতে, NSS-এ India-কে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যেন:
-
the US values India primarily for China containment,
-
India is a tool, not an equal partner.
এটি India-র foreign policy autonomy-র সাথে সাংঘর্ষিক।
PAKISTAN USA F16 DEAL,A DIFERRENT POINT OF VIEW
India’s Strategic Autonomy: নতুন বাস্তবতার কেন্দ্রবিন্দু
২০২৫ NSS-এ ভারতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, কিন্তু India নিজের foreign policy-তে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা বজায় রেখেছে—এটাই ভারতের সবচেয়ে বড় সাফল্য।
India এখনও:
-
Russia-র সাথে deep defense partnership বজায় রাখছে,
-
Global South-এ লিডারশিপ দাবি করছে,
-
China-র সাথে সীমান্ত উত্তেজনা মাঝেমধ্যে সামলাচ্ছে,
-
Quad-এও সক্রিয়, কিন্তু fully US-aligned নয়।
এই কারণে India এখন:
-
indispensable partner,
-
কিন্তু dependent partner নয়।
এটাই যুক্তরাষ্ট্রের India policy-তে নতুন বাস্তবতা।
Fact vs Myth: US 2025 NSS – India & Pakistan
Myth: যুক্তরাষ্ট্র India-Pakistan সম্পর্কের mediator হিসেবে কাজ করছে।
Fact: India স্পষ্টভাবে বলেছে—“কোনো third-party involvement ছিল না।”
Myth: Pakistan এখনও US strategy-র গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
Fact: 2025 NSS-এ Pakistan প্রায় সম্পূর্ণ absent; US now prioritises Indo-Pacific only.
Myth: India completely aligned with the US.
Fact: India এখনও strategic autonomy বজায় রাখে—Russia, Global South, Quad, সকল ক্ষেত্রেই স্বাধীন নীতি।
কী বোঝা যায়? ভারতের জন্য লাভ—পাকিস্তানের জন্য ক্ষতি
India-র লাভ:
-
Indo-Pacific-এ central player হিসেবে স্বীকৃতি,
-
US-India defense & tech partnership আরও শক্তিশালী,
-
China-কে balance করার ক্ষেত্রে global support,
-
diplomatic prestige বৃদ্ধি।
Pakistan-এর ক্ষতি:
-
South Asia issues এখন US priority নয়,
-
terrorism narrative-এ Pakistan-এর ভূমিকা উপেক্ষা,
-
India-Pakistan parity ভেঙে পড়া।
উপসংহার: ২০২৫ NSS ভারতের জন্য কূটনৈতিক জয়, কিন্তু সতর্কতার জায়গাও আছে
২০২৫ সালের National Security Strategy নিঃসন্দেহে India-র কূটনৈতিক উত্থানের স্বীকৃতি।
কিন্তু একইসঙ্গে এটি মনে করিয়ে দেয়:
-
India-কে নিজের regional priorities ভুলে গেলে চলবে না,
-
US-China rivalry-তে নিজেকে শুধুমাত্র a strategic tool হতে দেওয়া যাবে না,
-
South Asia-র বাস্তবতা India-কে নিজের terms-এই সামলাতে হবে।
India নিজের strategic autonomy বজায় রেখে global power হিসেবে উত্থিত হতে চাইছে—এবং ২০২৫ NSS সেই যাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
People Also Ask
Because India is a key Indo-Pacific partner and essential to US strategy against China.
Pakistan’s strategic value has dropped after the US withdrawal from Afghanistan and Washington's shift to China-focused Indo-Pacific policy.
No. India officially rejected the claim, stating “No third-party involvement.”
It strengthens defense cooperation, tech partnership, and maritime security alignment.