ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা: পাকিস্তানি সেনা ও মিলিটারি এস্টাবলিশমেন্টের বিপজ্জনক ফাঁদ

 গাজা যুদ্ধ-পরবর্তী বাস্তবতা শুধু ফিলিস্তিন বা ইসরায়েলের সংকট নয়—এটি এখন আন্তর্জাতিক ক্ষমতার রাজনীতির এক নতুন পরীক্ষাগার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত ২০-দফা গাজা শান্তি পরিকল্পনা আপাতদৃষ্টিতে “স্থিতিশীলতা” ও “পুনর্গঠন”-এর কথা বললেও, বাস্তবে এটি মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন আধিপত্য পুনঃপ্রতিষ্ঠার একটি কৌশলগত ব্লুপ্রিন্ট। এই পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে একটি তথাকথিত International Stabilization Force (ISF)—যার মূল বোঝা বইবে মুসলিম-অধ্যুষিত দেশগুলোর সেনাবাহিনী।

ট্রাম্প কেন গাজায় পাকিস্তানি সেনা চান?
ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনায় পাকিস্তানি সেনা পাঠানো নিয়ে মিলিটারি এস্টাবলিশমেন্ট ও জনরোষ
গাজায় পাকিস্তানি সেনা পাঠানোর চাপ—আসিম মুনিরের জন্য ঘরের ভেতর ও বাইরে দুই দিকেই আগুন

ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনার মূল কৌশল হলো—পশ্চিমা সেনা না পাঠিয়ে মুসলিম-প্রধান দেশগুলোর সেনা ব্যবহার করা। এতে আন্তর্জাতিক সমালোচনা কমে এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। পাকিস্তানের বিশাল সেনাবাহিনী, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা অভিজ্ঞতা এবং ওয়াশিংটনের সঙ্গে সেনা নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে পাকিস্তান এই পরিকল্পনার প্রধান লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠেছে।

এই বাহিনীর সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সম্ভাব্য অংশীদার হিসেবে সামনে এসেছে পাকিস্তান। আর এখানেই শুরু হয়েছে এক ভয়ংকর দ্বন্দ্ব—যেখানে পাকিস্তানের মিলিটারি এস্টাবলিশমেন্ট, বিশেষ করে ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির, একদিকে ওয়াশিংটনের অনুগত থাকতে মরিয়া, অন্যদিকে নিজের দেশের রাস্তায় নামা জনতার আগুন সামলাতে সম্পূর্ণ অক্ষম।


কেন ট্রাম্প গাজায় পাকিস্তানি সেনা চান?

ট্রাম্প প্রশাসনের কৌশল অত্যন্ত ঠান্ডা মাথার। গাজায় যদি সরাসরি মার্কিন বা ইউরোপীয় সেনা নামে, তাহলে সেটি “অধিকৃত অঞ্চল”-এর অভিযোগে আন্তর্জাতিক সমালোচনার ঝড় উঠবে। কিন্তু যদি পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, আজারবাইজান বা অন্য মুসলিম দেশ সেনা পাঠায়—তাহলে সেই সমালোচনা অনেকটাই নরম হবে।

এই কারণেই ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনায় বলা হয়েছে—গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের পর সেখানে আইনশৃঙ্খলা, সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ, পুলিশ প্রশিক্ষণ, পুনর্গঠন সমন্বয় এবং সবচেয়ে বিতর্কিতভাবে হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ করার দায়িত্ব নেবে এই ISF।

পাকিস্তান এখানে “আদর্শ প্রার্থী” হিসেবে উঠে এসেছে কয়েকটি কারণে—

  1. পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ১০ লক্ষের বেশি সদস্য নিয়ে বিশ্বের অন্যতম বড় বাহিনী

  2. জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে পাকিস্তানের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা

  3. সর্বোপরি—পাকিস্তানের সেনা নেতৃত্ব এখন কার্যত ওয়াশিংটনের সরাসরি নিয়ন্ত্রণাধীন

ট্রাম্প প্রশাসন প্রকাশ্যে না বললেও, ভেতরে ভেতরে পাকিস্তানের উপর প্রচণ্ড চাপ তৈরি করছে যাতে তারা গাজায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সেনা পাঠায়। এমনকি ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের সঙ্গে ট্রাম্পের তৃতীয় ব্যক্তিগত বৈঠক শুধুমাত্র এই গাজা ইস্যু নিয়েই হতে পারে—এমন ইঙ্গিতও কূটনৈতিক মহলে ঘুরছে।


আসিম মুনির: পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে ক্ষমতাধর জেনারেল

পাকিস্তানের ইতিহাসে সামরিক শাসন নতুন কিছু নয়। কিন্তু আসিম মুনির যে অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছেন, তা আইয়ুব খান, জিয়া-উল-হক কিংবা পারভেজ মোশাররফ—কারোর পক্ষেই কল্পনাযোগ্য ছিল না।

২০২৫ সালের নভেম্বরে পাশ হওয়া ২৭তম সংবিধান সংশোধনী পাকিস্তান রাষ্ট্রকে কার্যত একটি মিলিটারি কর্পোরেশনে রূপান্তর করেছে। এই সংশোধনীর মাধ্যমে—

  • “Chief of Defence Forces” নামে নতুন পদ তৈরি করা হয়

  • তিন বাহিনীর ওপর একক নিয়ন্ত্রণ দেওয়া হয় মুনিরকে

  • আজীবন ফিল্ড মার্শাল পদ নিশ্চিত করা হয়

  • যেকোনো ফৌজদারি মামলার হাত থেকে আজীবন দায়মুক্তি দেওয়া হয়

  • ২০৩০ পর্যন্ত সাংবিধানিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়

অর্থাৎ, পাকিস্তানে এখন নির্বাচিত সরকার নয়—বিদেশনীতি, প্রতিরক্ষা, এমনকি অর্থনৈতিক কৌশল নির্ধারণ করছেন একজন জেনারেল

এই ক্ষমতা মুনির পেয়েছেন মূলত একটি জিনিসের বিনিময়ে—ওয়াশিংটনের নিঃশর্ত আনুগত্য।


ট্রাম্প–মুনির সম্পর্ক: কূটনীতি নয়, ব্যক্তিগত ডিল

২০২৫ সালের জুন মাসে ট্রাম্প যখন হোয়াইট হাউসে আসিম মুনিরকে ব্যক্তিগত লাঞ্চে আমন্ত্রণ জানান, তখন সেটি ছিল এক নজিরবিহীন ঘটনা। কোনো পাক প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বা বেসামরিক প্রতিনিধি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।

ট্রাম্প পরে প্রকাশ্যে মুনিরকে বলেন—
“My favourite Field Marshal.”

এই মন্তব্য কূটনৈতিক সৌজন্য নয়, বরং একটি স্পষ্ট বার্তা—ওয়াশিংটনের চোখে পাকিস্তান রাষ্ট্র নয়, পাকিস্তান সেনাবাহিনীই আসল অংশীদার।

পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা একে দেখছেন এভাবে—মুনির নিজেকে এমন এক “চ্যানেল” হিসেবে গড়ে তুলেছেন, যার মাধ্যমে আমেরিকা সরাসরি পাকিস্তানের নিরাপত্তা কাঠামো নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, গণতন্ত্রের ঝামেলা ছাড়াই।


মার্কিন চাপ বনাম পাকিস্তানের দ্বিচারিতা

ট্রাম্পকে খুশি রাখা এখন পাকিস্তানি এস্টাবলিশমেন্টের কাছে জীবন-মরণের প্রশ্ন। কারণ—

  • পাকিস্তানের অর্থনীতি ভঙ্গুর

  • রুপি চরম চাপের মধ্যে

  • IMF ও পশ্চিমা বিনিয়োগ ছাড়া টিকে থাকা কঠিন

  • সামরিক আধুনিকীকরণে মার্কিন প্রযুক্তির উপর নির্ভরতা ভয়াবহ

ডিসেম্বর ২০২৫-এ ট্রাম্প প্রশাসনের অনুমোদিত ৬৮৬ মিলিয়ন ডলারের F-16 আপগ্রেড প্যাকেজ সেই বাস্তবতার প্রমাণ।

এই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার এক অদ্ভুত দ্বিচারী অবস্থান নেন। তিনি বলেন—

“আমরা আমাদের বাহিনী দিতে প্রস্তুত, কিন্তু হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ আমাদের কাজ নয়।”

এই বক্তব্য কার্যত এক রাজনৈতিক ভণ্ডামি। কারণ ট্রাম্পের পরিকল্পনা এবং ইসরায়েলের শর্ত—উভয় ক্ষেত্রেই হামাস নিরস্ত্রীকরণ কেন্দ্রীয় বিষয়। পাকিস্তানি সেনা যদি গাজায় নামে, তারা কি শুধু ট্রাফিক পুলিশি করবে?


পাকিস্তানের রাস্তায় আগুন: ইসলামপন্থী বিস্ফোরণের আশঙ্কা

এখানেই মুনিরের জন্য সবচেয়ে বড় বিপদ।

গাজা ইস্যু পাকিস্তানে কেবল পররাষ্ট্রনীতি নয়—এটি ধর্মীয় ও জাতীয় পরিচয়ের অংশ। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে পাকিস্তানের শহরে শহরে যে প্রো-প্যালেস্টাইন আন্দোলন চলছে, তা থামার কোনো লক্ষণ নেই।

জামায়াতে ইসলামি ইতিমধ্যেই লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশ ঘটিয়েছে। লাহোর, করাচি, ইসলামাবাদ—সব জায়গায় একই স্লোগান—

  • আমেরিকা বিরোধিতা

  • ইসরায়েল বিরোধিতা

  • “পাকিস্তানি সেনা গাজায় পাঠানো চলবে না”

যদি পাকিস্তানি সেনা এমন এক বাহিনীতে যায়, যাকে জনগণ ইসরায়েলের নিরাপত্তা রক্ষাকারী হিসেবে দেখে—তাহলে সেই ক্ষোভ সরাসরি গিয়ে পড়বে সেনাবাহিনীর উপর।

এমনকি মার্কিন দূতাবাসও নিয়মিত প্রতিবাদ সতর্কতা জারি করছে—যা প্রমাণ করে, এই ক্ষোভ কল্পনাপ্রসূত নয়।


ইমরান খানের সমর্থকরা: দ্বিতীয় আগুন

এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ইমরান খানের সমর্থকদের তীব্র ঘৃণা। ২০২৪ সালের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও ইমরান খান আজ জেলে—এবং তার জন্য দায়ী হিসেবে তারা দেখেন আসিম মুনিরকেই।

গাজায় সেনা পাঠানো হলে এই বয়ান আরও শক্ত হবে—
“মুনির আমেরিকার দালাল, পাকিস্তানকে বিক্রি করছে।”

এই বয়ান রাস্তায় নামলে মুনিরের সাংবিধানিক ক্ষমতাও তাকে বাঁচাতে পারবে না।


ভারত–পাকিস্তান প্রেক্ষাপট: নয়াদিল্লির উদ্বেগ

ভারত এই পুরো পরিস্থিতি গভীর উদ্বেগ নিয়ে দেখছে। মে ২০২৫-এর সংঘর্ষ, অপারেশন সিঁদুরের পর পাকিস্তানের F-16 আপগ্রেড—সব মিলিয়ে নয়াদিল্লি বুঝছে, ওয়াশিংটন ধীরে ধীরে ইসলামাবাদের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক “রিসেট” করছে।

গাজা বাহিনীতে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ মানে—

  • যুদ্ধক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা

  • আন্তর্জাতিক বৈধতা

  • নতুন সামরিক সমন্বয়

যার প্রভাব ভবিষ্যতে ভারতের নিরাপত্তায় পড়তে পারে।


ইসরায়েল বনাম হামাস: অসম্ভব সমীকরণ

ইসরায়েল চায়—

  • হামাস সম্পূর্ণ নির্মূল

  • অস্ত্র জব্দ

  • গাজায় কঠোর নজরদারি

হামাস স্পষ্ট করে বলেছে—

  • অস্ত্র ত্যাগ নয়

  • আন্তর্জাতিক বাহিনী গাজায় ঢুকতে পারবে না

এই পরিস্থিতিতে ISF বাস্তবে কী করবে? যদি তারা হামাসকে স্পর্শ না করে, ইসরায়েল বলবে—এই বাহিনী অকার্যকর। যদি হামাসের বিরুদ্ধে যায়—তাহলে মুসলিম দেশের সেনারা নিজের ঘরেই বিদ্রোহের মুখে পড়বে।


অন্য দেশগুলোর পিছু হটা: পাকিস্তান একা

ইন্দোনেশিয়া, আজারবাইজান, এমনকি আরব দেশগুলো একে একে শর্ত জুড়ে দিচ্ছে বা চুপ করে যাচ্ছে। তুরস্ককে ইসরায়েল সরাসরি বাদ দিয়েছে। ফলে শেষ পর্যন্ত চাপটা এসে পড়ছে পাকিস্তানের ঘাড়েই।


 উপসংহার: ক্ষমতার শীর্ষে দাঁড়িয়ে থাকা এক বিপজ্জনক ভুলের মুখে পাকিস্তান

ট্রাম্পের গাজা স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স কাগজে-কলমে একটি শান্তি উদ্যোগ হলেও বাস্তবে এটি পাকিস্তানি মিলিটারি এস্টাবলিশমেন্টের জন্য এক ভয়ংকর রাজনৈতিক ফাঁদ। আসিম মুনির হয়তো সাংবিধানিকভাবে পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী জেনারেল, কিন্তু গাজা প্রশ্ন তাকে এমন এক জায়গায় দাঁড় করিয়েছে—যেখানে ওয়াশিংটনকে খুশি রাখা এবং নিজের দেশের জনগণের রোষ এড়ানো একসঙ্গে অসম্ভব।

পাকিস্তান যদি গাজায় সেনা পাঠায়, তাহলে সেই সেনা আর “শান্তিরক্ষী” থাকবে না—পাকিস্তানের রাস্তায় তারা হয়ে উঠবে বিশ্বাসঘাতকতার প্রতীক। আর যদি না পাঠায়, তাহলে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে গড়ে তোলা সামরিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক হঠাৎ করেই বিপদের মুখে পড়বে। এই দ্বন্দ্বই প্রমাণ করে, পাকিস্তানের তথাকথিত ‘স্ট্র্যাটেজিক অটোনমি’ আসলে কতটা ভঙ্গুর।

সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো—পাকিস্তানি জনগণ কি মেনে নেবে এমন এক সিদ্ধান্ত, যেখানে ফিলিস্তিনের রক্তের বিনিময়ে জেনারেলরা ওয়াশিংটনের প্রশংসা কিনতে চায়? ইতিহাস বলছে, পাকিস্তানে ক্ষমতার পতন কখনো আদালত থেকে শুরু হয় না—শুরু হয় রাস্তায়। আর গাজা ইস্যু সেই রাস্তায় আগুন লাগানোর মতো শক্তিশালী ইন্ধন।

গাজায় সেনা পাঠানো হলে আসিম মুনির হয়তো আন্তর্জাতিক মঞ্চে শক্তিশালী দেখাবেন, কিন্তু দেশের ভেতরে তার বৈধতা ভয়াবহভাবে ক্ষয়ে যাবে। আর এই বৈধতা সংকটই হতে পারে সেই ফাটল, যেখানে এতদিনের সাংবিধানিক সুরক্ষাও আর কাজ করবে না।

👉 এই প্রশ্নের উত্তরই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: পাকিস্তান কি আবারও বিদেশি যুদ্ধের বিনিময়ে নিজের ভেতরের স্থিতিশীলতা বিসর্জন দেবে, নাকি এবার ইতিহাসের ভুল থেকে শিক্ষা নেবে?

People Also Ask

গাজা স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স কী?

গাজা যুদ্ধের পর নিরাপত্তা, প্রশাসন ও পুনর্গঠন তদারকির জন্য প্রস্তাবিত একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী, যেখানে মূলত মুসলিম দেশগুলোর সেনা থাকবে।

পাকিস্তান কেন এই বাহিনীর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ?

কারণ পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বড়, অভিজ্ঞ এবং বর্তমানে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে সরাসরি কাজ করছে—বেসামরিক সরকারের বাইরেও।

আসিম মুনির কেন এত ক্ষমতাধর?

২০২৫ সালের ২৭তম সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে তিনি আজীবন ফিল্ড মার্শাল, তিন বাহিনীর একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রক এবং আইনি দায়মুক্তি পেয়েছেন।

পাকিস্তানি জনগণ কেন এর বিরোধিতা করছে?

গাজা ও ফিলিস্তিন ইস্যু পাকিস্তানে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক পরিচয়ের অংশ। ইসরায়েলপন্থী যেকোনো মিশনে সেনা পাঠানোকে জনগণ বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে দেখে।

এই সিদ্ধান্তে পাকিস্তানে কী ঝুঁকি তৈরি হতে পারে?

বড় ধরনের ইসলামপন্থী আন্দোলন, সেনাবাহিনীর বৈধতা সংকট এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

যদি আপনার কোনও বিষয়ে ডাউট থাকে বা কোনও বিষয় suggest করতে চান তাহলে মেল করুন!

নবীনতর পূর্বতন

banglafacts 4