হারিয়ে যাওয়া সোনার নগর: গুপ্ত সাম্রাজ্যের ১০ টি অবিশ্বাস্য রহস্য!
১. সোনার যুগ: ৩২০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৫৫০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত গুপ্ত সাম্রাজ্য ভারতবর্ষে স্বর্ণযুগের সৃষ্টি করে। শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞান, সবকিছুই তখন উন্নতির শীর্ষে।
২. চন্দ্রগুপ্ত মহারাজ: গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা চন্দ্রগুপ্ত মহারাজ একজন কুশল রাজনীতিবিদ ও যোদ্ধা ছিলেন। তিনি সাম্রাজ্যকে একত্রিত করে শক্তিশালী করেন।
৩. সমুদ্রের রাজা: গুপ্ত সম্রাটরা সমুদ্রপথেও শক্তিশালী ছিলেন। তাদের নৌবাহিনী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করে।
৪. নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়: গুপ্ত আমলেই গড়ে ওঠে বিশ্বের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় নালন্দা। এখানে দর্শন, বিজ্ঞান, সাহিত্য - সব বিষয়েই শিক্ষা দেয়া হতো।
৫. অজন্তা-এলোরা গুহাচিত্র: গুপ্ত শিল্পীদের দক্ষতার নিদর্শন হলো অজন্তা-এলোরা গুহাচিত্র। এগুলো ধর্মীয় চিত্রকলার অপূর্ব নিদর্শন।
৬. কামসূত্র: বিশ্বের প্রথম যৌনতত্ত্ব বিষয়ক গ্রন্থ "কামসূত্র" রচনা করেন গুপ্ত লেখক বাত্সায়ন।
৭. দশমিক সংখ্যাপদ্ধতি: গুপ্ত আমলেই দশমিক সংখ্যাপদ্ধতির বিকাশ হয়। এটি গণিতের ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটায়।
৮. iron pillar of delhi: দিল্লিতে অবস্থিত লৌহস্তম্ভটি গুপ্ত আমলের অসাধারণ প্রযুক্তির নিদর্শন। এই স্তম্ভটি ১৬০০ বছর ধরে জং ধরে না!
৯. ধর্মীয় সহনশীলতা: গুপ্ত সম্রাটরা হিন্দু, বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মের প্রতি সহনশীল ছিলেন। এতে ভারতে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় থাকে।
১০. রহস্যময় অবসান: ৫৫০ খ্রিস্টাব্দের পর গুপ্ত সাম্রাজ্য ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং অবশেষে অবলুপ্ত হয়। এর কারণ এখনো রহস্যই রয়ে গেছে।
এই ১০ টি রহস্য গুপ্ত সাম্রাজ্যকে আরো একবার ইতিহাসের পাতায় উজ্জ্বল করে তুলেছে। এই সোনার যুগের গল্প শোনা না গেলেই চলবে?