চলুন জেনে নিই সৌদি আরবের মজার তথ্য। যাইহোক, সৌদি আরবকে সর্বদা একটি বিতর্কিত দেশ হিসাবে দেখা হয়েছে, এখানকার বিধি-বিধান এতই কঠোর যে কখনও কখনও মানবাধিকারও লঙ্ঘিত হয় !
এখানে নারীদের প্রতি যে আচরণ করা হয় তা কারো কাছেই গোপন নয়,এখন যদিও কিছুটা নারী স্বাধীনতা দেওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। আজ আমরা আপনাদের জানাবো সৌদি আরবের কিছু মজার তথ্য....
সৌদি আরবে বিশ্বের বৃহত্তম খনিজ তেলক্ষেত্র রয়েছে, এই তেলক্ষেত্রটি ঘাওয়ার তেলক্ষেত্র নামে পরিচিত। একটি হিসেব অনুযায়ী বলা হয়েছে যে এতে 75 বিলিয়ন ব্যারেল তেল রয়েছে, যা প্রায় 4,770,897টি সুইমিং পুল পূরণ করতে পারে।
সৌদি আরবে প্রায় 8,412,000 হাজার শ্রমিক কাজ করে। তবে এর মধ্যে ৮০ শতাংশ শ্রমিক বিদেশ(মূলত দক্ষিণ এশিয়া) থেকে এসেছেন এবং এই সব শ্রমিকরা বেশিরভাগ তেল পরিষেবা খাতে কাজ করেন।
জানলে অবাক হবেন, সৌদি আরবে অমুসলিমদের নাগরিকত্ব নেওয়ার অধিকার নেই। এছাড়াও, যারা অমুসলিম ধর্মে বিশ্বাসী তাদেরও তাদের নিজস্ব ধর্মীয় স্থান(মন্দির, চার্চ, গুরুদ্বরা ইত্যাদি) বানানোর অনুমতি নেই।
আয়তনের দিক থেকে, সৌদি আরব 13তম স্থানে রয়েছে, যদি জার্মানির সাথে তুলনা করা হয় তবে এটি তার চেয়ে 6 গুণ বড়। সৌদি আরবের 95 শতাংশ মরুভূমি এবং এর আয়তন 830,000 বর্গমাইল।
সৌদি আরবে উটের সবচেয়ে বড় বাজার রয়েছে, এখানে প্রতিদিন 100টি উট কেনা হয়, এই বাজারটি রিয়াদে রয়েছে।
সৌদি আরবে কোনো নদী নেই, সৌদি আরব ছাড়া মাত্র ১৬টি দেশ আছে যাদের কোনো নদী নেই।
সৌদি আরব বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে নারীদের গাড়ি চালানো নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু লিখিতভাবে কোথাও উল্লেখ নেই, তবে এখানে নারীদের জন্য গাড়ি চালানো নিষিদ্ধ । এখন সেখানকার রাজা মো: বিন সালমান সেই নিয়ম তুলে মহিলাদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দিয়েছেন।
সৌদি আরব আয়তনের দিক থেকে বাংলাদেশের চেয়ে ১৪ গুণ বড় যেখানে বাংলাদেশের জনসংখ্যা সৌদি আরবের চেয়ে ৬ গুণ বেশি।
সৌদি আরবের সামরিক ব্যয় আফগানিস্তানের জিডিপি থেকে প্রায় 3 গুণ বেশি, আমেরিকা, চীন এবং রাশিয়ার পরে, সামরিক ব্যয়ে সবচেয়ে বেশি ব্যয়কারী দেশ সৌদি আরব। যদিও বেশিরভাগ অর্থ তারা অস্ত্র বা নিজেদের মিলিটারি তে খরচ না করে আমেরিকা এবং পাকিস্তানকে ভাড়া দেয়। পাকিস্তান এবং আমেরিকার সৈন্য সৌদি আরবের তৈলখনিগুলো রক্ষা করার জন্য মোতায়েন রয়েছে।
সৌদি আরবের 47% জনসংখ্যার বয়স 24 বছরের কম।
সৌদি আরবে নির্মিত হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন। এটি কিংডম টাওয়ার নামে পরিচিত হবে, এটির নির্মাণে প্রায় 75 বিলিয়ন টাকা খরচ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি বুর্জ খলিফার থেকেও উঁচু হবে।
আশা করি সৌদি আরবের এই আকর্ষণীয় তথ্যগুলো আপনার ভালো লাগবে!!