আমাদের ভক্তির জন্য তৈরি করা কিছু নিয়ম শুধু ভক্তির কারণে নয়, এর পিছনে লুকিয়ে আছে বিজ্ঞান। আসুন জেনে নিই ভক্তির পিছনে লুকিয়ে থাকা বিজ্ঞানগুলো কি কি?
মন্দিরে ঘণ্টা বাজানোর কারণ - যখনই কেউ মন্দিরে প্রবেশ করে, দরজায় একটি ঘণ্টা ঝুলে থাকে যা লোকেরা বাজায়। এটি থেকে নির্গত শব্দ সাত সেকেন্ডের জন্য প্রতিধ্বনিত হতে থাকে, যা শরীরের সাতটি নিরাময় কেন্দ্রকে সক্রিয় করে।
প্রদীপের ওপর হাত নাড়ানোর বৈজ্ঞানিক কারণ- আরতির পর সকলেই প্রদীপ বা কর্পূরের ওপর হাত রেখে মাথায় লাগিয়ে চোখের ওপর স্পর্শ করে। এটি করার ফলে, হালকা গরম হাতে দৃষ্টিশক্তি সক্রিয় হয় এবং একজন ভাল বোধ করে।
ঈশ্বরের মূর্তি - মন্দিরের গর্ভগৃহের একেবারে মাঝখানে ঈশ্বরের মূর্তি রাখা হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই জায়গায় সবচেয়ে পজিটিভ শক্তি থাকে যেখানে দাঁড়ালে শরীরে পজিটিভ এনার্জি পৌঁছায় আর নেতিবাচকতা চিন্তাভাবনা দুর হয়।
পরিক্রমার বৈজ্ঞানিক কারণ- প্রতিটি মন্দিরে গিয়ে পূজা করার পর পরিক্রমা করতে হয়। ৮ থেকে ৯ বার প্রদক্ষিণ করার নিয়ম। যখন মন্দিরে প্রদক্ষিণ করা হয়, তখন চারপাশের সমস্ত ইতিবাচক শক্তি শরীরে প্রবেশ করে এবং মন শান্ত হয়।
কেন আমরা জুতো মন্দিরের বাইরে খুলি - খালি পায়ে মন্দিরে প্রবেশের পিছনে বৈজ্ঞানিক কারণ হল- পুরোনো দিনের বড় বড় মন্দিরের মেঝেগুলি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে তারা বৈদ্যুতিক এবং চৌম্বকীয় তরঙ্গের বড় উৎস রূপে কাজ করে।মেঝের উপর খালি পায়ে হাঁটার ফলে পায়ের মাধ্যমে শরীরে সর্বোচ্চ শক্তি প্রবেশ করে। তাছাড়াও জুতো তে অনেক জীবাণু থাকতে পারে,যা নিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করা ঠিক না।