ঘূর্ণিঝড় দিতওয়া: সৃষ্টি, গতিপথ, প্রভাব ও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা (২০২৫) | Cyclone Ditwah Explained in Bengali

বঙ্গোপসাগর ঘূর্ণিঝড় ২০২৫
Andhra Pradesh weather alert

 ঘূর্ণিঝড় দিতওয়া: সৃষ্টি, গতি, প্রভাব ও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা – একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ

ঘূর্ণিঝড় দিতওয়া (Cyclone Ditwah) ২০২৫ সালের অন্যতম শক্তিশালী ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়, যা শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ ভারতের ওপর বিপর্যয় নামিয়ে আনে। এই ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি, শক্তিবৃদ্ধি, গতিপথ, ক্ষয়ক্ষতি ও পরিবেশগত কারণগুলো বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ—কারণ প্রতিটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ই একাধিক ভৌগোলিক, সমুদ্রগত ও বায়ুমণ্ডলীয় প্রক্রিয়ার সম্মিলিত ফল।

🌪️ What Is Cyclone Ditwah?

Cyclone Ditwah was a tropical storm formed over the southwest Bay of Bengal in late November 2025. It developed from a low-pressure area due to warm sea surface temperatures (28–30°C), high atmospheric moisture, low wind shear, and the influence of the Coriolis force. The cyclone made landfall in Sri Lanka, causing severe landslides, floods, and major casualties, before moving north toward Tamil Nadu and Andhra Pradesh, bringing heavy rainfall and coastal weather alerts. It weakened into a deep depression by December 2, 2025.

  • Origin: Southwest Bay of Bengal (Nov 26)
  • Reason for formation: Warm ocean water + high humidity + low wind shear
  • Landfall: Sri Lanka (Nov 28)
  • Impact regions: Sri Lanka, Tamil Nadu, Andhra Pradesh
  • Main hazards: Landslides, floods, strong winds

এই বিস্তৃত গাইডে আমরা দিতওয়ার কীভাবে সৃষ্টি হলো, কীভাবে শক্তিশালী হলো, কোথায় কোথায় আঘাত হানল এবং কেন এত বড় বিপর্যয় ঘটালো—সবকিছু সহজ ভাষায় এবং বৈজ্ঞানিক যুক্তিসহ তুলে ধরা হয়েছে।


ঘূর্ণিঝড় কীভাবে সৃষ্টি হয়: দিতওয়ার জন্মের বিজ্ঞান

কোনো ঘূর্ণিঝড়ই এক দিনে তৈরি হয় না। এটি ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে, যখন সমুদ্র ও বায়ুমণ্ডলের নির্দিষ্ট পাঁচটি শর্ত একসাথে অনুকূল হয়ে ওঠে। দিতওয়ার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি।

🌡 ১. উষ্ণ সাগরপৃষ্ঠ তাপমাত্রা (Sea Surface Temperature)

ঘূর্ণিঝড়ের জ্বালানী হলো সমুদ্রের উষ্ণ জল। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরের তাপমাত্রা ছিল ২৮–৩০°C, যা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির ন্যূনতম সীমা ২৬.৫°C-এর চেয়ে অনেক বেশি।

উষ্ণ জল → বাষ্পীভবন → মেঘ তৈরি → লুকায়িত তাপ মুক্তি → ঝড় শক্তিশালী হওয়া।

এই চক্রটি দিতওয়াকে দ্রুত শক্তিশালী করে তোলে।

🌬 ২. নিম্নস্তরীয় ও উচ্চস্তরীয় বাতাসের কম বিচ্যুতি (Low Wind Shear)

উপর-নীচের স্তরের বাতাসের গতি ও দিকের ব্যবধান যদি বেশি হয়, তা ঘূর্ণিঝড়কে ছিন্নভিন্ন করে দেয়।
দিতওয়ার সময় ১০–১৫ নট এর মতো অত্যন্ত কম শিয়ার ছিল, যা ঘূর্ণিঝড়কে স্থিতিশীল রেখেছিল।

💧 ৩. প্রচুর আর্দ্রতা ও বায়ুমণ্ডলের অস্থিতিশীলতা

বঙ্গোপসাগর স্বভাবগতভাবে আর্দ্র—বিশেষ করে উত্তর–পূর্ব মৌসুমী বায়ুর সময় (অক্টোবর–ডিসেম্বর)।
এই আর্দ্রতা ও নিম্নচাপের মিলনে বায়ুমণ্ডল অতি অস্থিতিশীল হয় এবং বিশাল মেঘস্তম্ভ তৈরি হয়, যা ঘূর্ণিঝড়ের জ্বালানি।

🌍 ৪. পৃথিবীর ঘূর্ণনজনিত কোরিওলিস বল

ঘূর্ণিঝড় গঠনের জন্য নিরক্ষরেখা থেকে অন্তত ৫° দূরত্ব জরুরি।
দিতওয়া গঠিত হয়েছিল ৬°–১১° উত্তর অক্ষাংশে—যেখানে কোরিওলিস বল যথেষ্ট।

এটাই ঘূর্ণিঝড়কে ঘুরতে বাধ্য করে।

🌀 ৫. পূর্ব-বিদ্যমান নিম্নচাপ বা বায়ু সঙ্কোচন অঞ্চল

দিতওয়ার বীজ ছিল ২৬ নভেম্বরের একটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপ, যার ওপর ভিত্তি করে ঘূর্ণিঝড়ের কাঠামো তৈরি হয়।


কেন বঙ্গোপসাগর ঘূর্ণিঝড়ের জন্মভূমি?

বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ ৩০টি ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে ২২টি ঘটেছে বঙ্গোপসাগরে। কারণ:

🔥 গভীর উষ্ণ জলস্তর

বঙ্গোপসাগরের ৬০–৭০ মিটার গভীর পর্যন্ত উষ্ণ জল থাকে।
এই কারণেই দিতওয়ার মতো ঘূর্ণিঝড় দীর্ঘ সময় ধরে শক্তি পেয়েছে।

🌧 মৌসুমি বায়ুর প্রভাব

দু’টি মৌসুম—

  • দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু
  • উত্তর-পূর্ব মৌসুমী বায়ু

এ দুটি প্রচুর আর্দ্রতা যোগায় এবং ঘূর্ণিঝড় বিকাশে সাহায্য করে।

⛰ ভৌগোলিক "ফানেল" আকৃতি

বঙ্গোপসাগরের আকৃতি উপসাগরের উত্তরের দিকে বাতাসকে সংকুচিত করে—যা ঘূর্ণিঝড়কে শক্তিশালী করে।

🌊 অগভীর উপকূল ও বিপজ্জনক জলোচ্ছ্বাস

অগভীর জলরাশি জলোচ্ছ্বাসকে বাড়িয়ে তোলে, যা উপকূলীয় ক্ষয়ক্ষতি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।


ঘূর্ণিঝড় দিতওয়ার শক্তিবৃদ্ধি: ধাপে ধাপে বিবরণ

🔹 প্রাথমিক ধাপ (২৬–২৭ নভেম্বর)

নিম্নচাপ থেকে গভীর নিম্নচাপে রূপান্তর—

  • উষ্ণ জল থেকে প্রচুর বাষ্প
  • মেঘস্তম্ভ বৃদ্ধি
  • কেন্দ্রীয় নিম্নচাপ কমে যাওয়া
  • বাতাসের বেগ ৬৫–৭০ কিমি/ঘণ্টা

এই পর্যায়ের শেষে এটি “Cyclonic Storm” শ্রেণিতে পৌঁছে।

🔹 সর্বোচ্চ শক্তি (২৮–২৯ নভেম্বর)

  • বাতাসের গতি ৭০–৯০ কিমি/ঘণ্টা
  • ঝোড়ো হাওয়া ১০০ কিমি/ঘণ্টারও বেশি
  • ঘনীভূত বৃষ্টিপাত
  • বৃত্তাকার ঘূর্ণন আরও সুস্পষ্ট

এই সময়ই দিতওয়া শ্রীলঙ্কার দিকে এগোতে থাকে।

⚡ Fact vs Myth (Cyclone Ditwah | Tropical Cyclone Science)

❌ Myth 1: Cyclones are dangerous only because of strong winds.
✔ Fact: Most deaths occur due to floods, landslides, storm surge, not just wind.

❌ Myth 2: Sri Lanka is rarely affected by strong cyclones.
✔ Fact: Cyclone Ditwah caused catastrophic landslides in Sri Lanka’s central highlands.

❌ Myth 3: Cyclone intensity is the same every year.
✔ Fact: Climate change is increasing the frequency of intense Bay of Bengal cyclones.

❌ Myth 4: Cyclones always weaken after landfall.
✔ Fact: Some cyclones retain strength if they move parallel to the coastline over warm waters.

❌ Myth 5: Cyclones form without warning.
✔ Fact: IMD and global agencies track low-pressure development days in advance.

🔹 দুর্বল হওয়ার ধাপ (৩০ নভেম্বর–২ ডিসেম্বর)

কারণ:

  • অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা সমুদ্রজল
  • উচ্চস্তরের বাতাসের শিয়ার বৃদ্ধি
  • শুষ্ক বায়ুর প্রবেশ
  • স্থলভাগের ঘর্ষণশক্তি

শেষে এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে দুর্বল হয়ে যায়।


দিতওয়ার গতিপথ (Track): কোথা দিয়ে গেল, কীভাবে গেল

📍 ২৬–২৮ নভেম্বর: বঙ্গোপসাগর → শ্রীলঙ্কার দিকে উত্তরে অগ্রসর

গতি ছিল তুলনামূলকভাবে কম, ১৩–১৭ কিমি/ঘণ্টা।
এই ধীর গতি শ্রীলঙ্কায় অতি ভারী বৃষ্টি ডেকে আনে।

📍 ২৮ নভেম্বর: শ্রীলঙ্কায় আঘাত

শ্রীলঙ্কার বাডুল্লা–মাতালে–ক্যান্ডি অঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করে।

📍 ২৯–৩০ নভেম্বর: সমুদ্রপথে পুনরায় উত্তরমুখী যাত্রা → দক্ষিণ ভারতের সমান্তরাল

  • তামিলনাড়ু ও অন্ধ্র উপকূলে ভয়াবহ বৃষ্টিপাত
  • কেন্দ্র উপকূলের ২৫–৬০ কিমি দূর দিয়ে অগ্রসর

📍 ১–২ ডিসেম্বর: দুর্বল হয়ে স্থবিরতা

অন্ধ্র উপকূলের কাছে গতি কমে যায় এবং এটি ট্রপিক্যাল সিস্টেমের শক্তি হারায়।


শ্রীলঙ্কায় দিতওয়ার বিধ্বংসী প্রভাব

☠️ প্রাণহানি ও নিখোঁজ

  • ৪১০ জনের মৃত্যুর সরকারি নিশ্চিতকরণ
  • ৩৩৬ জন নিখোঁজ
  • ১৪ লক্ষের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
  • ২.৩৩ লক্ষ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে

শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর একটি।

⛰ ভূমিধস — মৃত্যুর প্রধান কারণ

ভূমির ঢাল বিশিষ্ট মধ্যাঞ্চল (ক্যান্ডি, নুয়ারা এলিয়া, বাডুল্লা) জুড়ে
অতি ভারী বৃষ্টিতে—

  • পাহাড় ধসে ঘরবাড়ি চাপা পড়ে
  • পুরো গ্রাম বিলীন হয়ে যায়
  • উদ্ধারকাজ মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত

🏚 ঘরবাড়ি ও অবকাঠামো ক্ষতি

  • ১৫,০০০+ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
  • ৫৬৫ সম্পূর্ণ ধ্বংস
  • ২০০+ প্রধান সড়ক অচল
  • ১০টি বড় সেতু ক্ষতিগ্রস্ত
  • বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে

🌾 কৃষি ও খাদ্য সংকট

  • ধান ও বাগান ফসল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত
  • বাজারে পণ্য সরবরাহ ভেঙে পড়ে
  • খাদ্যাভাব সৃষ্টি

🚰 স্বাস্থ্য ঝুঁকি

  • বিশুদ্ধ পানির ঘাটতি
  • আশ্রয়কেন্দ্রে রোগ ছড়ানোর প্রবণতা
  • WHO ও UN জরুরি ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করে

দক্ষিণ ভারতে দিতওয়ার প্রভাব

🇮🇳 তামিলনাড়ু

🌧 চেন্নাই-সহ উপকূলীয় জেলায় শহরাঞ্চল প্লাবিত

  • ভেলাচেরি, যাদবপুর, মাইলাপুর—নৌকা মোতায়েন
  • রামেশ্বরমে ২০০+ গ্রাম দুই দিন ধরে বিচ্ছিন্ন
  • জলাবদ্ধতায় জনজীবন বিপর্যস্ত

✈️ বিমানবন্দর ও পরিবহন বিপর্যয়

  • চেন্নাই বিমানবন্দরের অন্তত ১০টি ফ্লাইট বাতিল
  • রাস্তাঘাট ডুবে গাড়ির গতি শ্লথ
  • ট্রেন দেরি ও বাতিল

🌾 কৃষি ক্ষতি

  • তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর জরুরি বৈঠক
  • কৃষিতে বিপুল ক্ষতি
  • ক্ষতিপূরণ: ২০,০০০ টাকা/হেক্টর

🇮🇳 অন্ধ্র প্রদেশ

  • নেল্লোর, তিরুপতি, কৃষ্ণা, গুন্টুরে ভারী বৃষ্টি
  • ৫৫–৭৫ কিমি/ঘণ্টা বেগে দমকা হাওয়া
  • ফ্ল্যাশ-ফ্লাড সতর্কতা
  • উপকূলবর্তী গ্রামে আগাম সরিয়ে নেওয়া

উত্তর–পূর্ব মৌসুমী বায়ু ও ঘূর্ণিঝড়ের সম্পর্ক

অক্টোবর–ডিসেম্বর হলো উত্তর ভারত মহাসাগরের প্রধান ঘূর্ণিঝড় মৌসুম।
কারণ—

  • এই সময় আর্দ্রতা খুব বেশি
  • বায়ু সঙ্কোচন তীব্র
  • নিম্নচাপ তৈরির প্রবণতা বৃদ্ধি

দিতওয়া এই মৌসুমের আদর্শ উদাহরণ।


শিক্ষণীয় বিষয়: ঘূর্ণিঝড় কীভাবে কাজ করে (ছাত্রছাত্রীদের জন্য সহজ ব্যাখ্যা)

১. ঘূর্ণিঝড় শক্তি পায় সমুদ্রের তাপ থেকে।

তাপ → বাষ্প → মেঘ → লুকায়িত তাপ → ঝড় শক্তিশালী।

২. ঘূর্ণিঝড় নিজের শক্তি নিজেই বাড়ায় (Positive Feedback Loop)।

এটি যত শক্তিশালী হয়, তত বেশি শক্তি টানে।

৩. নির্দিষ্ট ভূগোল—যেমন বঙ্গোপসাগর—ঘূর্ণিঝড়কে বেশি উৎসাহ দেয়।

৪. পূর্বাভাস কঠিন, কারণ বড়ো স্কেলের বায়ুপ্রবাহ হঠাৎ বদলে যেতে পারে।

৫. ঘূর্ণিঝড় মানেই শুধু বাতাস নয়—

  • বন্যা
  • জলোচ্ছ্বাস
  • ভূমিধস
  • খাদ্য সংকট
  • স্বাস্থ্য বিপর্যয়
    সবকিছু মিলেই একটি “জটিল বিপর্যয়” সৃষ্টি হয়।

উপসংহার

ঘূর্ণিঝড় দিতওয়া আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে জলবায়ু পরিবর্তন, উষ্ণতা বৃদ্ধি, ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল এবং অপর্যাপ্ত পরিকল্পনার কারণে এ ধরনের দুর্যোগ আরও মারাত্মক হয়ে উঠছে।

দিতওয়া শক্তিশালী ঝড় না হয়েও—

  • শ্রীলঙ্কায় শত শত প্রাণহানি,
  • দক্ষিণ ভারতে প্রচণ্ড বৃষ্টি,
  • কৃষি ও অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি

ডেকে এনেছে।

ঘূর্ণিঝড়ের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি ও ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত জরুরি।


বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ

          │

          ↓

উষ্ণ জল + আর্দ্রতা + কম Wind Shear

          │

          ↓

ঘূর্ণিঝড় দিতওয়া গঠিত

          │

          ↓

শ্রীলঙ্কায় landfall

          │

          ├──→ অতিভারী বৃষ্টি → ভূমিধস → প্রাণহানি

          │

          ├──→ বন্যা → বাড়িঘর ধ্বংস → মানুষ বাস্তুচ্যুত

          │

          ↓

দক্ষিণ ভারতের উপকূলে অগ্রসর

          │

          ├──→ তামিলনাড়ুতে নগর বন্যা, কৃষি ক্ষতি

          │

          ├──→ অন্ধ্র প্রদেশে ভারী বৃষ্টি, ঝড়ো হাওয়া

          │

          ↓

দুর্বল গভীর নিম্নচাপে পরিণত


❓ People Also Ask (Cyclone Ditwah | Bay of Bengal Cyclone FAQs)

Q1: How did Cyclone Ditwah form over the Bay of Bengal?
Ans: Cyclone Ditwah formed due to warm sea surface temperatures (28–30°C), high moisture, low wind shear, and a pre-existing low-pressure area.

Q2: Why does the Bay of Bengal produce stronger cyclones than the Arabian Sea?
Ans: Because of deeper warm water, constant moisture inflow, monsoon wind patterns, and the funnel-shaped coastline that enhances cyclone formation.

Q3: Which regions were most affected by Cyclone Ditwah?
Ans: Sri Lanka’s central highlands (due to landslides), and India’s Tamil Nadu & Andhra Pradesh coasts faced heavy rainfall and flooding.

Q4: What is the connection between the northeast monsoon and cyclones?
Ans: The northeast monsoon brings additional moisture and atmospheric instability, increasing the likelihood of late-season Bay of Bengal cyclones.

Q5: How does climate change influence cyclones in the Indian Ocean?
Ans: Rising sea temperatures and unusual humidity make tropical cyclones more intense, long-lasting, and unpredictable.

📘 Glossary: Important Terms in Cyclone Formation (Bay of Bengal Cyclone Glossary)

Sea Surface Temperature (SST): The warmth of the ocean’s surface. Cyclones form when SST exceeds 26.5°C. Higher SST = stronger tropical cyclones.

Low-Pressure Area: A zone where air pressure is lower than surrounding regions. It is the seed for cyclone formation in the Bay of Bengal.

Convection: The upward movement of warm, moist air that builds thundercloud towers inside a cyclone.

Latent Heat: Heat released when water vapor condenses into clouds. This is the primary energy source of tropical cyclones like Cyclone Ditwah.

Wind Shear: The difference in wind speed/direction at different altitudes. Low wind shear helps cyclones intensify.

Coriolis Force: Earth’s rotation causes winds to spin, enabling cyclones to form at latitudes above 5°.

Rainbands: Spiral bands of rain surrounding the cyclone's center. They bring heavy rainfall during cyclone landfall in India / Sri Lanka.

Eye & Eyewall: The calm center (eye) surrounded by the most severe wind zone (eyewall).

আরও জানতে চান?
👉 আমাদের ব্লগে ঘূর্ণিঝড়, জলবায়ু পরিবর্তন, মৌসুমী বায়ু ও আবহাওয়ার বিজ্ঞান নিয়ে আরও বিস্তারিত বিশ্লেষণ পড়ুন। শেয়ার করুন, সচেতনতা বাড়ান!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

যদি আপনার কোনও বিষয়ে ডাউট থাকে বা কোনও বিষয় suggest করতে চান তাহলে মেল করুন!

নবীনতর পূর্বতন

banglafacts 4