জগদীশচন্দ্র বসু: একজন বাঙালি বিজ্ঞানীর অসামান্য অবদান

 


জগদীশচন্দ্র বসু একজন বাঙালি পদার্থবিদ, উদ্ভিদবিদ এবং জীববিজ্ঞানী। তিনি ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের বিজ্ঞান চর্চার অন্যতম পথিকৃৎ। তাঁর আবিষ্কার ও গবেষণা বিশ্ব বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।

জগদীশচন্দ্র বসুর উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার ও গবেষণার মধ্যে রয়েছে:

  • মাইক্রোওয়েভ রিসিভার ও ট্রান্সমিটারের উন্নয়ন: জগদীশচন্দ্র বসু প্রথম মাইক্রোওয়েভ প্রযুক্তির ওপর সফল গবেষণা করেন। তিনি ১৮৯৫ সালে মাইক্রোওয়েভ রিসিভার ও ট্রান্সমিটার আবিষ্কার করেন। এই আবিষ্কারের ফলে রেডিও আবিষ্কারের পথ সুগম হয়।

  • গাছের সংবেদনশীলতা আবিষ্কার: জগদীশচন্দ্র বসু গাছের সংবেদনশীলতা আবিষ্কার করেন। তিনি দেখান যে গাছ বাইরের উদ্দীপনা, যেমন আলো, শব্দ, স্পর্শ ইত্যাদি অনুভব করতে পারে। এই আবিষ্কার উদ্ভিদবিদ্যার ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী ঘটনা।

  • ক্রেস্কোগ্রাফ যন্ত্রের আবিষ্কার: ক্রেস্কোগ্রাফ হল এক ধরনের যন্ত্র যা গাছের বৃদ্ধি নিখুঁতভাবে পরিমাপ করতে পারে। এই যন্ত্রটি আবিষ্কারের ফলে গাছের বৃদ্ধির উপর গবেষণা অনেক সহজ হয়।

  • অন্তর্ভুক্তির তত্ত্ব: জগদীশচন্দ্র বসু অন্তর্ভুক্তির তত্ত্ব প্রদান করেন। এই তত্ত্ব অনুসারে, কোনো পদার্থের মধ্যে অন্য কোনো পদার্থের অন্তর্ভুক্তি ঘটলে, প্রথম পদার্থের বৈশিষ্ট্যগুলি পরিবর্তিত হয়। এই তত্ত্ব পদার্থবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার।

জগদীশচন্দ্র বসু ছিলেন একজন বহুমুখী প্রতিভা। তিনি পদার্থবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা, জীববিজ্ঞান, এবং গণিতের বিভিন্ন শাখায় গবেষণা করেছেন। তাঁর আবিষ্কার ও গবেষণা বিশ্ব বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল অধ্যায়।

জগদীশচন্দ্র বসুর অবদানের জন্য তিনি ভারত সরকারের কাছ থেকে নাইটহুড উপাধি পান। তিনি ১৯২১ সালে রয়্যাল সোসাইটির ফেলো নির্বাচিত হন। ১৯৩১ সালে তিনি কলকাতায় মারা যান।

জগদীশচন্দ্র বসু ছিলেন একজন প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ। তিনি প্রকৃতির রহস্য উদঘাটনে আজীবন ব্রতী ছিলেন। তাঁর আবিষ্কার ও গবেষণা প্রকৃতির প্রতি তাঁর গভীর ভালোবাসার পরিচয় বহন করে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

যদি আপনার কোনও বিষয়ে ডাউট থাকে বা কোনও বিষয় suggest করতে চান তাহলে মেল করুন!

নবীনতর পূর্বতন

banglafacts 4