1934 সালের ভারতীয় সাধারণ নির্বাচন ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে ভারতের স্বাধীনতার সংগ্রামে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত। এই ব্লগে, আমরা এই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়া ঘটনাগুলি, ভারতীয় রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপের উপর এর প্রভাব এবং এই ঐতিহাসিক মুহূর্তকে রূপদানকারী মূল খেলোয়াড়দের নিয়ে আলোচনা করি৷
**I. পটভূমি: স্বাধীনতার জন্য ভারতীয় সংগ্রাম**
বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে, ভারত ছিল ঔপনিবেশিক বিরোধী কার্যকলাপের কেন্দ্রস্থল। মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহেরু এবং সুভাষ চন্দ্র বসুর মতো নেতারা একটি ক্রমবর্ধমান আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিলেন যা স্ব-শাসন এবং ব্রিটিশ শাসনের অবসান চেয়েছিল।
**II. ভারত সরকার আইন 1935**
ভারত সরকার আইন 1935, ব্রিটিশ পার্লামেন্ট দ্বারা পাস করা একটি সাংবিধানিক সংস্কার, 1934 সালের নির্বাচনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটির লক্ষ্য ছিল ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ, প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন প্রবর্তন করা এবং ভারতীয়দের একটি উল্লেখযোগ্য মাত্রার স্ব-শাসন প্রদান করে।
**III. প্রথম ধাপ: প্রাদেশিক নির্বাচন**
1934 সালের নির্বাচনটি একটি দ্বি-পর্যায়ের প্রক্রিয়া ছিল, প্রথম ধাপে প্রাদেশিক আইনসভার নির্বাচন জড়িত ছিল। এই নির্বাচনগুলি 11টি প্রদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং সেগুলি আরও ব্যাপক ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় আইনসভা নির্বাচনের অগ্রদূত ছিল।
** IV. মূল খেলোয়াড়**
উল্লেখযোগ্য নেতা এবং রাজনৈতিক দলগুলি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল, প্রত্যেকেই ভারতীয় স্ব-শাসন অর্জনের জন্য তাদের স্বতন্ত্র দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে। মহাত্মা গান্ধী এবং জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
** V. রাজনৈতিক পরিবর্তন এবং জোট**
নির্বাচন উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক পরিবর্তন এনেছিল। কংগ্রেস এবং মুসলিম লীগের মত দলগুলি প্রাধান্য লাভ করে এবং নতুন জোট গঠিত হয়। ফলাফলগুলি, স্বাধীনতার পক্ষে যারা সমর্থন করে তাদের পক্ষে একটি সুস্পষ্ট পাবলিক ম্যান্ডেট নির্দেশ করে।
**VI. দ্বিতীয় পর্যায়: কেন্দ্রীয় আইনসভা নির্বাচন**
প্রাদেশিক নির্বাচনগুলি ছিল কেন্দ্রীয় আইনসভা নির্বাচনের একটি ভূমিকা, যা 1937 সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই নির্বাচনগুলি কেন্দ্রীয় আইনসভার গঠন নির্ধারণ করে, ভারতকে স্ব-শাসনের এক ধাপ কাছাকাছি নিয়ে আসে।
**VII. প্রভাব**
1934 সালের ভারতীয় সাধারণ নির্বাচন এবং পরবর্তী নির্বাচনগুলি বৃহত্তর স্ব-শাসনের দিকে একটি উত্তরণ চিহ্নিত করে। এই নির্বাচন প্রাদেশিক পর্যায়ে নির্বাচিত ভারতীয় সরকার প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত করেছিল এবং ভারতের গণপরিষদের ভিত্তি স্থাপন করেছিল, যা স্বাধীনতা-পরবর্তী জাতির সংবিধানের খসড়া তৈরি করবে।
**VIII. উত্তরাধিকার এবং স্বাধীনতা**
1934 সালের নির্বাচনের সময় স্বাধীনতার বীজ বপন করা হয়েছিল। এটি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনকে শক্তিশালী করেছিল এবং এক দশকের মধ্যে, ভারত ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীনতার দীর্ঘকালের লালিত স্বপ্ন অর্জন করবে।
**উপসংহার**
1934 সালের ভারতীয় সাধারণ নির্বাচন শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক ঘটনা ছিল না; এটি ছিল ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। নির্বাচনের ফলাফল স্ব-শাসনের জন্য ভারতীয় জনগণের আকাঙ্ক্ষার উপর জোর দেয় এবং 1947 সালে একটি স্বাধীন জাতির জন্মের দিকে চূড়ান্ত ধাক্কার মঞ্চ তৈরি করে।