একটি নিরপেক্ষ চার্জ পদার্থের একটি অবস্থা যেখানে কোনো সামগ্রিক বৈদ্যুতিক চার্জ নেই। এর অর্থ হল ধনাত্মক চার্জযুক্ত কণার সংখ্যা (প্রোটন) নেতিবাচক চার্জযুক্ত কণার (ইলেকট্রন) সংখ্যার সমান। পরমাণু হল নিরপেক্ষ চার্জের সবচেয়ে সাধারণ উদাহরণ, কারণ তাদের সমান সংখ্যক প্রোটন এবং ইলেকট্রন রয়েছে।
নিরপেক্ষ চার্জ অনেকগুলি বিভিন্ন ঘটনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যার মধ্যে রয়েছে:
অণু গঠন: যখন পরমাণুগুলি একত্রিত হয়ে অণু তৈরি করে, তখন তারা ইলেকট্রন ভাগ করে তা করে। ইলেক্ট্রনের এই ভাগাভাগি একটি নিরপেক্ষ চার্জ তৈরি করে, যা পরমাণুগুলিকে একসাথে থাকতে দেয়।
বিদ্যুতের সঞ্চালন: তড়িৎ প্রবাহ হল পরিবাহীর মধ্য দিয়ে ইলেকট্রনের প্রবাহ। বিদ্যুৎ প্রবাহের জন্য দুটি বিন্দুর মধ্যে বৈদ্যুতিক চার্জের পার্থক্য থাকতে হবে। একটি নিরপেক্ষ বস্তু বিদ্যুৎ সঞ্চালন করতে পারে না, কারণ বৈদ্যুতিক চার্জে কোন পার্থক্য নেই।
চুম্বকের আকর্ষণ: চুম্বক একে অপরকে আকর্ষণ করে কারণ তাদের বিপরীত চৌম্বকীয় চার্জ রয়েছে। একটি নিরপেক্ষ বস্তুর কোন চৌম্বক চার্জ নেই, তাই এটি চুম্বকের প্রতি আকৃষ্ট হবে না।
সাধারণভাবে, বিভিন্ন শারীরিক ঘটনার জন্য নিরপেক্ষ চার্জ একটি প্রয়োজনীয় শর্ত। নিরপেক্ষ চার্জ ছাড়া, দুনিয়ার অস্তিত্ব সম্ভব হবে না।
এখানে নিরপেক্ষ চার্জের কিছু উদাহরণ রয়েছে:
একটি জলের অণুতে (H2O) 2টি প্রোটন এবং 2টি ইলেকট্রন থাকে, তাই এটি নিরপেক্ষ।
একটি কার্বন পরমাণুর (C) 6টি প্রোটন এবং 6টি ইলেকট্রন রয়েছে, তাই এটি নিরপেক্ষ।
একটি নিউট্রনে 0টি প্রোটন এবং 0টি ইলেকট্রন থাকে, তাই এটি নিরপেক্ষ।