1.অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া থেকে ফিরে স্নান - এটি ভারতে একটি বিশ্বাস যে যখনই কেউ অন্ত্যেষ্টি শোভাযাত্রায় যায় বাড়ি ফিরে আসার পরে তাকে স্নান করতে হয় কারণ এটি না করা অশুভ বলে বিবেচিত হয়। কিন্তু এর পেছনের বৈজ্ঞানিক কারণ হলো, মৃত্যুর পর অনেক ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া শরীরে জন্ম নেয় এবং তাদের সংস্পর্শে এই ব্যাকটেরিয়া অন্যের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে, এই ব্যাকটেরিয়া থেকে বাঁচতে স্নান করত হয় যাতে এই ব্যাকটেরিয়া চলে যায়।
2.নদীতে মুদ্রা নিক্ষেপ করা শুভ বলে মনে করা হয় - লোকেরা প্রায়শই নদীতে একটি মুদ্রা নিক্ষেপ করে ঈশ্বরকে তাদের ইচ্ছা পূরণ করতে বলে এবং এটা বিশ্বাস করা হয় যে নদীতে একটি মুদ্রা নিক্ষেপ করলে ভাগ্য শক্তিশালী হয়। কিন্তু এর পেছনের বৈজ্ঞানিক কারণের কথা বললে, আগেকার যুগে তামার কয়েন ছিল যা জলকে ব্যাকটেরিয়া মুক্ত করত আর সেজন্যই জলে কয়েন রাখা হতো। এটা হয়তো এখনো দেখবেন যে অনেক ডাক্তার তামার পাত্রে জল রেখে খাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু ধীরে ধীরে মানুষ এর সাথে যোগ দিয়েছে উজ্জ্বল ভাগ্য।
3.কোথাও যাওয়ার আগে দই খাওয়া - যখনই আমরা ভাল কাজের জন্য কোথাও বাইরে যাই, এমনটা বিশ্বাস আছে যে দই খেয়ে ঘর থেকে বের হওয়া উচিত যাতে কাজটি সফল হয় এবং ভাগ্য তাতে সহায়তা করে। কিন্তু এর পেছনের বৈজ্ঞানিক কারণের কথা বললে, আগেকার যুগে মানুষের দূর-দূরান্তে যাওয়ার জন্য কোনো বাহনের উপায় ছিল না। তারা পায়ে হেঁটে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতেন, এমন অবস্থায় দই খেলে শরীরে সতেজতা বজায় থাকে। দইয়ের সঙ্গে চিনি খেলে শরীরে গ্লুকোজের ঘাটতিও পূরণ হয়, যার কারণে শরীর কম ক্লান্ত বোধ করে।
4.মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার চুল না ধোয়া- মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার চুল ধোয়া অশুভ মনে করা হলেও এর পিছনে একটি বৈজ্ঞানিক কারণ লুকিয়ে আছে। প্রকৃতপক্ষে, আগেকার যুগে মানুষ জলের জন্য দীর্ঘ দূরত্ব ভ্রমণের পর নদী, পুকুর বা কুয়ো থেকে জল আনত এবং জল বাঁচানোর জন্য সপ্তাহে 1-2 দিন তাদের চুল ধুত না। তবে সময়ের সাথে সাথে মানুষ চুল ধোয়ার ব্যাপারটাকে কুসংস্কারের সঙ্গে যুক্ত করেছে।
5. মরিচের সাথে লেবু ঝুলানো - মরিচ এবং লেবু প্রায়শই বাড়িতে এবং দোকানে ঝুলিয়ে রাখা হয় খারাপ নজর থেকে রক্ষা করার জন্য। তবে এর পিছনে একটি বৈজ্ঞানিক কারণও রয়েছে যা হল লেবু এবং মরিচে রয়েছে সাইট্রিক অ্যাসিড যা শরীরের বেশ কয়েক ধরনের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে শরীর সুস্থ রাখে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে মানুষ একে কুসংস্কারের সাথে যুক্ত করতে শুরু করে।
পড়তে থাকুন,জানতে থাকুন।